বাঁশখালী প্রতিনিধি:
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন সাধনপুর, পুকুরিয়া, কালিপুর, বৈলছড়িতে পাহাড়ধসের সৃষ্ট ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে আনতে জিএফএফও, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইপসা “Child centred anticipatory action for better preparedness of communities and local institutions in Northern end coastal areas of Bangladesh” প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ব্যাপক ভাবে কাজ করবে। উপজেলা/ ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয় প্রশাসন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, কমিউনিটি ভলান্টিয়ার, চাইল্ড এন্ড ইয়ূথ ফোরাম, আবহাওয়াবিদ, রিসোর্স পুল সহ বিভিন্ন গ্রুপ কে Early warning system সহ নানাবিধ প্রশিক্ষণ প্রদান, কমিউনিটি পর্যায়ে ভয়েস ম্যাসেজ প্রদান, সচেতনতামূলক সভা/ ক্যাম্পেইন, শর্তবিহীন ও শর্তযুক্ত নগদ অর্থ প্রদান, রেইন গেজ, সয়েল ময়েস্চোর সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডিভাইস প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে টেকনিক্যাল সাপোর্ট প্রদান করা হবে।
২৭ জুন-২০২৪ খ্রীঃ বাঁশখালী উপজেলা অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত উল্লেখিত প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় বিষয়টি নিশ্চিত করা হয় এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্য, উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা প্রদান এবং কার্যকর প্রন্থা অবলম্বনে স্টেকহোল্ডার/অংশীজনদের মতামত গ্রহণ করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব জেসমিন আক্তার।
এছাড়াও প্যানেল আলোচক ও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আব্দুল খালেক পাটোয়ারী, সাধনপুর ইউপি চেয়ারম্যান কে এম সালাহ উদ্দিন কামাল, উপজেলা কৃষি অফিসার আবু সালেক, মৎস কর্মকর্তা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড. সুপন কুমার নন্দী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুব আলম শাওন ভূঁইয়া, লিপটন ওম, সিপিপি কর্মকর্তা মিটু কুমার দাশ, সহকারী যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স টিম ম্যানেজার মো. আজাদুল ইসলাম, রেঞ্জ অফিসার আমিন হক, ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন, রিনা আক্তার প্রমূখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসা ‘র প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ‘র অফিসার (এন্টিসিপেটোরি এ্যাকশন) আবু তৈয়ব। সভা সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের সহকারী প্রজেক্ট অফিসার কল্যান বড়ুয়া।
প্রধান অতিথি মিসেস জেসমিন আক্তার বলেন দক্ষিণ চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলা ঘূর্ণিঝড় ও পাহাড়ধসের জন্য অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ এলাকা হিসেবে পরিচিত, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে বসবাসরত কয়েক হাজার স্থানীয় ও ভাসমান জনগোষ্ঠীকে প্রশাসন সর্বাত্মক চেস্টা করেও পুরোপুরি সরিয়ে আনতে সক্ষম হচ্ছেনা। অতিবৃষ্টির প্রেক্ষিতে যেকোনো সময় পাহাড়ধসে বড় ধরণের বিপযর্যের সম্ভাবনা তুলে ধরে তিনি প্রশাসনের পাশাপাশি বেসসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যকর প্রদক্ষেপ এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সচেতনতার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বিগত দিনে ইপসা কর্তৃক গৃহহীনদের ভূমি ও গৃহ নির্মাণ, সেলাই মেশিন, গবাদি পশু বিতরণ সহ বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করে ইপসা, সেভ দ্য এবং জিএফএফও বাস্তবায়িত চাইল্ড সেন্টারড এন্টিসিপেটরি একশন ‘র প্রকল্পের কার্যক্রম পাহাড়ি অঞ্চলের ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর সচেতনতায় অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ করেন এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।