চট্টগ্রাম : সিএমপির ইপিজেড থানা পুলিশের চৌকস অভিযানে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা বিভিন্ন কলাকৌশলে ঘটনার ৪ ঘন্টার মধ্যেই
অজ্ঞান পার্টির তিন সদস্য আটক।
আটককৃতরা হলেন অজ্ঞান পার্টির সদস্য ১। মোঃ রবিউল ইসলাম বেলাল (২৫), ২। মোঃ হালিম (৩৫) ও ৩। মোঃ মানিক মিয়া (৩৫)। আটকের সময় আসামিদের থেকে চুরির নগদ ১০,২৫০/- (দশ হাজার দুইশত পঞ্চাশ) টাকা উদ্ধার করেন।
১০জুলাই (বুধবার) রাতে সিএমপি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও মাহমুদুল হাসান (এসি বন্দর) উক্ত ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ০৮জুলাই খ্রি. রাত ৮টায় ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা জেলেপাড়া রেলবিট রফিকের দোকানের সামনে রাস্তার উপর ভ্রাম্যমাণ নারিকেল বিক্রেতা মোঃ রাছেল (২৩)-কে ও ০৯জুলাই সন্ধ্যা ৭ টায় ভ্রাম্যমাণ লুঙ্গি বিক্রেতা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৪০)-কে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চেতনানাশক ঔষধমিশ্রিত জুস খাইয়ে অচেতন করে ফেলে। অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা মোঃ রাছেলের নিকট থেকে নারিকেল বিক্রির নগদ ৪২,০০০/- (বেয়াল্লিশ হাজার টাকা) ও তার ব্যবহৃত একটি আইটেল অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন এবং মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের নিকট থেকে লুঙ্গি বিক্রির নগদ ১,৭৫০/- (এক হাজার সাতশত পঞ্চাশ) টাকা নিয়ে যায়।
এমন সংবাদে থানার এসআই (নি.) আবছার উদ্দিন রুবেলের নেতৃত্বে এসআই (নি.) শাকিলুর রহমান ও এসআই (নি.) শেখ তারিকুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ ইপিজেড থানা এলাকাসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনাসহ বিভিন্ন কলাকৌশলে দ্বিতীয় ঘটনার পরবর্তী ০৪ ঘন্টার মধ্যেই উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত অজ্ঞান পার্টির সদস্যদের আটক করে।
মাহমুদুল হাসান (এসি বন্দর) তিনি আরো জানান, উক্ত বিষয়ে ধৃত আসামিদের বিরুদ্ধে ইপিজেড থানায় মামলা হয়েছে। আটক আসামি হালিম এবং বেলাল বন্দর থানার একই ধরনের মামলায় বর্তমানে জমিনে থাকা অবস্থায় এই ঘটনা ঘটায়।