মোহাম্মদ মাসুদ
আসন্ন পবিত্র আশুরা ২০২৪ সুষ্ঠুভাবে উদ্যাপন উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মান্যবর সিএমপি কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম (বার)।
আজ ১১ জুলাই দামপাড়াস্থ সদরদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পাবলিক রিলেশন অফিসার) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ উক্ত বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান,সভায় উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আ স ম মাহাতাব উদ্দিন, পিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) আবদুল মান্নান মিয়া, বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মাসুদ আহাম্মদ, বিপিএম, পিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ আব্দুল ওয়ারীশ, পিপিএম-সেবা মহোদয়সহ সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। এছাড়াও উক্ত সভায় ডিজিএফআই, এনএসআই, জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, র্যাব-৭, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ওয়াসা, পিডিবিসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিগণ এবং তাজিয়া মিছিল পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সমন্বয় সভায় পবিত্র আশুরা উদ্যাপনের লক্ষ্যে সব রকমের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় বিষয়ে আলোচনা করেন। নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে নয়টি তাজিয়া মিছিল শহরের বিভিন্ন র্যুট প্রদক্ষিণ করবে। সভায় এসব মিছিলকে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে দায়িত্বশীল বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ে কর্মবিধি প্রণয়ন করা হয় এবং নিম্নে উল্লিখিত সাধারণ নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
# নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্ধারিত র্যুটে সীমাবদ্ধ থেকে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে হবে।
# তাজিয়া মিছিলে বহনকারী বাঁশ/ঝাণ্ডার দৈর্ঘ্য ১২ ফুটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। মিছিলে চলমান গাড়ি চলাচলকালে বৈদ্যুতিক/টেলিফোন বা অন্য কোনো তারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে তা নিরসনের জন্য ‘ভি’ আকৃতির আংটাযুক্ত বাঁশ সাথে রাখতে হবে।
# তাজিয়া মিছিলে ছোরা, বল্লম, চাকুসহ কোনো ধরনের অস্ত্র বহন করা যাবে না।
# তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা যাতে উশৃঙ্খল আচরণ না করে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
# তাজিয়া মিছিলে আতশবাজি/পটকা বহন ও ফুটানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
# রাস্তায় যান চলাচলের প্রতি দৃষ্টি রেখে তাজিয়া মিছিল পরিচালনা করতে হবে।
# দুটি তাজিয়া মিছিল যাতে মুখামুখি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
# সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে কোনো উষ্কানিমূলক বক্তব্য/কার্যক্রম অথবা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢিল ছোঁড়া ইত্যাদি না করার জন্য তাজিয়া মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের পূর্বেই ব্রিফিং করতে হবে।
# পবিত্র আশুরা উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ সুশৃঙ্খলভাবে আশুরা উদ্যাপনের লক্ষ্যে নিজেরা সভা করে নিজ নিজ এলাকায় দিক-নির্দেশনা প্রদান করবেন।
# তাজিয়া কমিটি কর্তৃক স্ব-স্ব উদ্যোগে স্বেচ্ছাসেবক/নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করতে হবে এবং স্বাক্ষরিত নামের তালিকা ও মোবাইল নম্বর নগর বিশেষ শাখা ও সংশ্লিষ্ট থানায় জমা প্রদান করতে হবে।
# স্বেচ্ছাসেবকদের চেনার সুবিধার্থে গেঞ্জি/ক্যাপ/আর্মডব্যান্ড ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে।
# তাজিয়া মিছিলে যাতে অনাকাঙ্খিত কোনো লোক প্রবেশ করতে না পারে সেটি স্ব-স্ব তাজিয়া কমিটির নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক দ্বারা নিশ্চিত করতে হবে।
# শোকমিছিল শুরু হওয়ার পরে পথিমধ্যে আশেপাশের ছোটো ছোটো গলি থেকে কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ গ্রুপ আকারে বা পাইক হিসেবে যাতে প্রবেশ করতে না পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
# তাজিয়া মিছিল চলাকালে নিরাপত্তার স্বার্থে কোন প্রকার ব্যাগ, ব্যাগসদৃশ বস্তু, টিফিন বক্স, প্রেসার কুকার, দাহ্য পদার্থ নিয়ে প্রবেশ এবং অবস্থান করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
# নামাজ ও আজানের সময় মাইক/লাউড স্পিকার বাজানো থেকে বিরত থাকতে হবে।
# ফেইসবুক, এক্স বা অন্য কোনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার-প্রচারণা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আপত্তিকর কোনো কিছু মনে হলে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করতে হবে।
# যে-কোনো ধরনের মাদক পরিহার করতে হবে।
# তাজিয়া মিছিল চলাকালে দায়িত্ব পালনে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে।