ঢাকা, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১, ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
স্মরণ সভা সফলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ:চসাস
হাটহাজারী উপজেলায় ১৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মিরসরাই ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বাংলাদেশেকে ঘিরে ভারত, আমেরিকা, চীনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের অর্ন্তনিহিত কারণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ
চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র,কার্যবিধি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা
কিশোর গ্যাং- সমাজের অবক্ষয় ও করণীয়
বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা বিক্ষোভ প্রতিবাদ
সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন:সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অদম্য একুশ ‘র আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও ঈদ পুনর্মিলনী

বতর্মান হালচাল, রাষ্ট্রের দায়িত্ব অনেক: অথই নূরুল আমিন

বতর্মান বাংলাদেশে আজকে খুব জোরালো আলোচনা সমালোচনা চলছে। কোটার পক্ষে আন্দোলন। কোটার বিপক্ষে আন্দোলন। একদল বাবার কর্তৃত্ব নেতৃত্ব ও যোগ্যতার অধিকার বহাল রাখতে চায়। তারা হলো আমাদের দেশের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান।

আরেক দল তারা আসলে কি চায়। কেন আন্দোলনের নামে রাজপথে আছে খুব বেশি পরিস্কার নয়। তবে রাষ্ট্রের কাছে মেধার মূল্যায়ন চায়। অনেকেই কোটা প্রথা বাতিল চায়। এটা একদল চাইতেই পারে। আমার প্রশ্ন আন্দোলনকারীদের কোনো সরকার মেনে নেইনি এবং নেবে না। গতকাল গণভবন থেকে সাফ জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এবং কোর্ট যা বলে তাই হবে। কথা তো সঠিক বলেছেন। ভাল কথা তাহলে এখানে গালী গালাজ তো দরকার নেই। অপবাদ দরকার নেই। তবে কথা আছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা যেন কথায় কথায় দুষ্টর পরিচয় দিচ্ছে অনেকেই। তোমার ন‍্যায‍্য দাবি আদায় গিয়ে নমনীয় না হয়ে উস্কানি দিচ্ছ । উশৃঙ্খল আচরণ করছো এটা তোমাদের কেমন শিক্ষা আর কেমন মেধাবী তোমরা?

আমার কাছে মনে হচ্ছে। যারা মেধার অধিকার চায়। রোড ম‍্যাপ অনুযায়ী তাদের বিষয় গুলো খূব একটা সুন্দর করে সাজানো হয়নি। দেশের মেধার পক্ষে যেসকল শিক্ষার্থীরা আছে। তারা অনেকেই কিছু না বুঝেই আন্দোলনে শামিল হয়েছে।

আর এদিকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বনাম ছাত্রলীগ তারা কোটা বিরোধী বা মেধা প্রত‍্যাশীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। এ যেন কোনো কিছু না বুঝেই উভয় পক্ষ আজকে হঠাৎ করে নতুন রূপে নতুন আঙ্গিকে এক দল আরেক দলের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে । এক গ্রুপ আরেক গ্রুপকে অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করছে।

আমার কথা হলো। যারা কোটা বিরোধী বা মেধার কদর প্রত‍্যাশী যে যাই বলুক। তাদের অবস্থান, মিছিল অথবা শ্লোগানের ভাষা অতি অসুন্দর। তাদের প্রত‍্যেকের চেহারায় ফুটে আগে রাগের ও ক্ষোভের দির্ঘ অভিমান। তাদের মুখের ভঙ্গি ও মারমুখী আচরণে ফুটে উঠেছে একধরনের প্রতিহিংসা। তারা শুধু কোটা বাতিল এটা ইস‍্যু মাত্র। তারা সরকারের প্রতি চরম অখুশি।

কোটা আন্দোলনে এসে তাদের এই ধরনের আচরণ এটা কোনো ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। কোটা প্রথা বাতিল আন্দোলন কারীরা বা রাষ্ট্রে চাকরি প্রত‍্যাশী হয়ে কখনও বেয়াদবি করতে পারে না। ওরা তো এখনো অনেকেই শিক্ষার্থী। তাহলে ওরা রাস্তায় নেমে যে ধরনের নষ্টামি আচরণ করছে। বেফাঁস কথাবার্তা বলছে। ওদের মতো শিক্ষার্থীদের কে সরকারি চাকরি দেয়া মানে সরকারি প্রতিষ্ঠান গুলোকে বেয়াদবের কারখানায় পরিণত করা। ছাত্রদের আন্দোলন হবে সভ‍্যতা বজায় রেখে। তাদের কথা হবে নমনীয়। ভদ্র ও সাম‍্য। যা দেখে অন‍্যজনেরা শিখবে।

এদিকে রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রের প্রধান যদি এই আন্দোলন দেখে তাদের আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ইঙ্গিত করেন ওরা রাজাকারের সন্তান। তাহলে ঢালাও ভাবে কথাটা হয়ে গেল। এই ধরনের কথা শুনে দেশবাসী খুবই চিন্তিত বা অনেকেই নতুন করে ক্ষুব্ধ হয়েছে। কারণ তাদের সন্তানদের রাজাকারের সন্তান বলা হয়েছে। এমনটি অনেকের ধারণা। এরকম দ্বিধা থেকে অনেকের মাঝে প্রতিহিংসার জন্ম হতে পারে ।
গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর থেকেই অনেকেই বলছে কই আমি তো কখনও রাজাকার ছিলাম না। তাহলে আমার কলেজ পড়ুয়া ছেলে বা মেয়ে রাজাকারের সন্তান হলো কি ভাবে?
হ‍্যা জনগণের মাঝে আজকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জাগতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক।

আমার মন্তব্য হলো স্বাধীনতার 53 বছর পরেও যখন গতকাল গণভবন সেই রাজাকার বা রাজাকারদের সন্তান কথাটি আসছে। তাহলে এখানে একটি গুষ্ঠিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। কিন্তু দেশের সিংহভাগ মানুষেরা এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে। যার জন‍্য এই জাতির সম্পূর্ণ ভুল ভাঙ্গার জন‍্য সত্যি সত্যি রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করা হোক।
তাহলে সমাজ ভেবে নিবে এই দেশের কত ভাগ লোক রাজাকার ছিলো। আর তার সাথে বেড়িয়ে আসবে তাদের সন্তানেরা বা রাজাকারদের নাতি নাতনিরা আসলেই আজকে আসলে কি করে?

নতুবা দেশের এক শ্রেণির লোকেরা আপন জ্ঞান থেকেই মন্ধ কাজে জড়িয়ে যেতে পারে। যা হবে রাষ্ট্রের জন‍্য অশনি সংকেত। একটা শ্রেণি প্রায় সময় বিভিন্ন ইস‍্যু নিয়ে তাদের মহান শাহবাগে এসে তড়িঘড়ি জড়ো হয়ে যায়। আজকে যদি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার মতো রাজাকারদেরও তালিকা থাকতো তাহলে শাহবাগে দেখে দেখে ওদেরকে চিহ্নিত করা যেত।

আমার কথা হলো আন্দোলন করবে শিক্ষার্থীরা ঠিক আছে তবে সেটা হতে হবে ভদ্রতার মধ‍্যে। কারণ এটা কোনো ছোট দাবী নয়। এটা হচ্ছে জীবনের স্বপ্ন পূরণের দাবী। এখানে তারা যত মার্জনীয় থাকবে ততই তাদের ভদ্রতা প্রকাশ পাবে। কোটা বিরোধী আন্দোলন কারীরা কখনও মারমুখী আচরণ করতে পারে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved