ঢাকা, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১, ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
স্মরণ সভা সফলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ:চসাস
হাটহাজারী উপজেলায় ১৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মিরসরাই ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বাংলাদেশেকে ঘিরে ভারত, আমেরিকা, চীনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের অর্ন্তনিহিত কারণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ
চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র,কার্যবিধি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা
কিশোর গ্যাং- সমাজের অবক্ষয় ও করণীয়
বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা বিক্ষোভ প্রতিবাদ
সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন:সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অদম্য একুশ ‘র আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও ঈদ পুনর্মিলনী

বেহাল খেয়াঘাটে ঝুঁকি পারাপার

কয়রা – আশাশুনি উপজেলা সীমান্তবর্তী কোল ঘেঁষে বয়ে যাওয়া কয়রা নদীর মনিপুর, ভোলানাথপুর, বাগালী ,জায়গীর মহল খেয়াঘাট দিয়ে প্রতিদিন হাজারো মানুষ পারাপার হয়ে থাকেন। চার গ্রামের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা এই খেয়াঘাটটি। নদী পারাপারের এই গুরুত্বপূর্ণ খেয়া ঘাটটি কাঁচা হওয়ায় সাধারণ মানুষের পারাপারের জন্য চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে দুই সীমান্তবর্তী গ্রামের মানুষ এই খেয়া ঘাট দিয়ে পারাপার হন। জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ততম এই ঘাটটি পূর্ব কাল থেকেই কাঁচা। তাই বর্ষা মৌসুমে কম কষ্টে নদী পার হওয়া গেলেও পানি কমে গেলে পার হওয়া কষ্টকর। নদীতে পানি বাড়লে বেড়িবাঁধের পাশে আসার কারণে খেয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকা বেড়িবাঁধের পাশে আনা সম্ভব হলেও পানি কমে গেলে চর জেগে উঠে। এ সময় খেয়ার ইঞ্জিনচালিত নৌকা বেড়িবাঁধ থেকে অনেক ভেতরে নদীতে অবস্থান করায় পারাপারের মানুষগুলোকে কাঁদা-পানিতে ভিজে নৌকায় উঠতে হয়।
নদীর ওপার প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় শুকনো মৌসুমে কাঁচা রাস্তায় মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল ও ভ্যান দুই পারের মানুষের চলাচলের মাধ্যম। কিন্তু বর্ষার সময় এসব পার করা খুব কঠিন ব্যাপার। মোটরসাইকেল ও ভ্যান পারাপার করতে গেলে এসব নৌকায় ওঠানামা খুব কষ্টসাধ্য। তিন-চারজন মিলে উঁচু করে এগুলো পারাপার করতে হয়।
ভুক্তভোগী এক বৃদ্ধ বলেন, আমার পূর্ব পুরুষ থেকে দেখে আসছি এই খেয়াঘাটের ভোগান্তি পোহাতে। নদীতে ভাটার সময় হাঁটু পর্যন্ত কাঁদা ভেঙে নৌকায় উঠতে হয়।যাহা প্রাণ নাশের হুমকি স্বরূপ। প্রতি বছর সরকার লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় করলে ও সরকারি ভাবে ঘাট তৈরির কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, আমি প্রতিদিন দুই বার এই খেয়াঘাট দিয়ে পারাপার হয়ে মালপত্র নিয়ে পার হতে হয়। ব্যবসায়িক পণ্যসামগ্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে পারাপার হতে হয়। তাছাড়া ইজারাদার কর্তৃক ভাড়া দ্বিগুন হওয়াতে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। তিনি ঘাটটির সংস্কারের দাবি জানান।

দু’পারের জনপ্রতিনিধিরা জানান, খেয়াঘাটটি কাঁচা হওয়ার কারণে নদী পার হতে সাধারণ মানুষের খুব ভোগান্তি পোহাতে হয়। বিষয়টি আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সমস্যা সমাধানের জন্য চেষ্টা করছি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved