কিশোরগঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বাসায়, সময় টিভির অফিস,প্রতিদিন বাংলাদেশ পত্রিকা অফিস,কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাব, আওয়ামী লীগ জেলা সভাপতির বাসভবন ও চেম্বারে, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, পুলিশ সুপার অফিসে,কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র জনতা আন্দোলন বিপরীতে ও পরিস্থিতিকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানা যায়।
সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে সন্ধ্যা এবং রাতের বিভিন্ন সময়ে হামলা এবং ভাঙচুর ও লুটপাট ঘটেছে বলে জানা যায়।
বিকেলে শহরের খরমপট্টি এলাকায় বাসভবনে শত শত মানুষ প্রধান ফটক ভেঙে বাসায় ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। সাবেক রাষ্ট্রপতির শহরের খরমপট্টি এলাকায় আসবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তারা বাসার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ভাঙচুর চালানো হয় ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্রে। পরে বাসার উঠানে আসবাবপত্র এনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ সময় হামলা হয়েছে জেলা ছাত্র লীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমনের বাসভবন ও ব্যক্তিগত চেম্বারে। শহরের কালীবাড়ি মার্কেটে অবস্থিত সময় টেলিভিশন ও প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার অফিস, প্রেসক্লাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয় এবং কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসব স্থাপনায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়াও কালীবাড়ি মোড়ে অবস্থিত শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে হামলা করে ভেঙে ফেলা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলীয় অফিসে হামলা ও ভাঙচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা শহরের কালীবাড়ি মার্কেটের তৃতীয় তলা দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলীয় অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার সন্ধ্যায় হেলমেটপড়া দুর্বৃত্তের দল প্রথমে অফিসের সাইনবোর্ডটি ভেঙে ফেলে। পরে সার্টার ভেঙে ভেতরে হামলা চালায় ও ভাঙচুর লুটপাট করে দুর্বৃত্তরা।
হামলার পর দুর্বৃত্তরা মানিব্যাগ, নগদ টাকা, মোবাইল, ল্যাপটপ ও গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টসহ কম্পিউটার, ক্যামেরা, এসি, বুক সেলফ, ১৬টি বিভিন্ন ধরনের চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। এ সময় শতাধিক বইও লুট করে দুর্বৃত্তরা। এখনো অফিসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
তথ্যমতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির আনোয়ার হোসেন মোল্লা (সুমন) এর বাসভবনে ও তার চেম্বারে ভাঙচুর লুটপাট হামলা চালায়। কালিবাড়ি সময় টিভি ও প্রতিদিন বাংলাদেশ পত্রিকার অফিস প্রেসক্লাবে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
জেলে প্রশাসকের কার্যালয় পুলিশ সুপারের কার্যালয় মডেল থানায় হামলা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করা হয়।