জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র হল প্রভোস্টসহ বর্তমান প্রশাসনকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৯ আগষ্ট) বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা সংবাদ সম্মেলন করে পদত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনের সমন্বয়কেরা বলেন- এই ক্যাম্পাসে সব ধরনের সন্ত্রাস ও লেজুড়বৃত্তি এবং রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, ছাত্র হল প্রভোস্টসহ বর্তমান প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে। একই টেন্ডার ও নিয়োগ বাণিজ্যে মদদদানকারী সেকশন অফিসার রাসেল মাহমুদ ও এস এম মোদাব্বির হোসেন, টেন্ডার বাণিজ্যে যুক্ত সহকারী প্রকৌশলী শহিদুজ্জামান, কর্মকর্তা অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মির্জা মো. আবদুল হালিম, কর্মচারী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুজ্জামানকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে বহিষ্কার করতে হবে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে সকল এডহক আবু সায়েম চৌধুরী, ফারজিয়া মারিয়া তুন্না ও শিক্ষক ইলিয়াস সানির স্ত্রী আফসা তাসনিম পুসন) ও আউটসোর্সিং ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কারণ ভিসি, রেজিস্ট্রার ও ইলিয়াস উদ্দিন সিন্ডিকেট অর্থ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন।
ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলেন ব্যবস্থপনা বিভাগের শিক্ষক এনামুল হক, ফিশারিজ বিভাগের সুমিত পাল, হোসাইন মাহমুদ আপেল-কে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথায় পদত্যাগ করতে হবে। এবং সহকারী রেজিস্ট্রার আনিসুজ্জামান, সেকশন অফিসার রাসেল মাহমুদ, মেডিকেল অফিসার নীলিমা নাসরিন-কে তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে। এ ছাড়াও শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস ও গুজব ছড়ানোর জন্য ইলিয়াস সানিকে বহিষ্কার করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ নেতা কাওসার আহমেদ স্বাধীন, তাইফুল ইসলাম পলাশ, ইয়াসির আরাফাত সৌরভ, মোকাররম হোসেন, নাজমুল ও সকলাইনকে বহিষ্কার করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ না চাইলে তাদের পদত্যাগের দাবিতে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।