এস. আলম কোনো রাজনৈতিক ব্যাক্তি নয়। এস. আলম অন্যান্য রাজনীতিবিদ বা শিল্পপতিদের মতো টাকা সুইস ব্যাংকে ফেলে রাখেননি। বিনিয়োগ করেছেন এদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং খাদ্য ঘাটতি মেটানোসহ নতুন নতুন কর্মসংস্হান সৃষ্টির জন্য। এই দেশের সব শিল্প মালিকরাই কম-বেশি ব্যাংক ঋণের সাথে জড়িত। এখানে আমাদের জানা দরকার, এস. আলমকে হিংসা করে কে বা কারা??? এস. আলমকে হিংসা করে ঐ সমস্ত ব্যাক্তিরা যাদের কোনো একাডেমিক সার্টিফিকেট নেই, যাদের পরিবারের কেউ এস. আলমের চাকরি করে না এবং যার পাশের যোগ্য লোকটি এস. আলমের চাকরি পেয়েছে বলে পাশের অযোগ্য ব্যাক্তির প্রতিহিংসার স্বীকার হয়।
তাই বলে কি এস. আলমকে হিংসা করতে হবে? একটা বিষয় লক্ষ্য করেছেন কি? যারা রাস্তা-ঘাটে এস. আলমকে নিয়ে দুর্নাম করে বেড়ায় তাদের পেছনের পরিচয়ে দেখবেন শিক্ষাগত যোগ্যতায় চাকরি পাওয়ার মাপকাঠিতে তারা পড়ে না বা তাদের চাকরির বয়সসীমা পার হয়ে গেছে অথবা এতো সহজে মানুষগুলোর চাকরি হচ্ছে বলে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এস. আলমের বিরুদ্ধে ভুল তথ্য উপস্থাপন পূর্বক লেখা-লেখি করছে তারা। তবে এরাই বেশির ভাগ রাস্তা-ঘাটে চিল্লাতে দেখা যায় এবং এদের মনের ভেতর একটা হিংসা কাজ করে শুধু এস. আলমের বিরুদ্ধে নয়, এস. আলমের অধীনে চাকরি করা ব্যাক্তিটির বিরুদ্ধেও। আর এটাই হচ্ছে প্রতিহিংসা। তারা কখনো চায়না সমাজ বেকারমুক্ত হোক, তারা চায়না পাশের ভাই অথবা বোনটি শিক্ষার যোগ্যতায় নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনুক।
এরা জানেনা এস. আলমের ঋণের চেয়ে এই দেশে বিনিয়োগ বেশি। তাছাড়া এস. আলমের ব্যবসায়িক প্রসারতার সাথে সাথে ঠিক সময়ে ঋণ দানের প্রক্রিয়াও অব্যাহত আছে। এমন নয় যে এদেশে এস. আলমের কোনো ব্যবসা দেউলিয়া হয়ে গেছে। মনে রাখতে হবে এস. আলম তার ব্যবসা প্রতিষ্টানগুলো একদিনেই প্রতিষ্টা করেননি। তিনি ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠা করেন সিমেন্ট, ভেজিটেবল ওয়েল, স্টীল, কুলার রিলিফ, সিয়ার কোয়েল, ব্যাংক, বীমা, চিনি পরিশোধনাগার ইত্যাদি। নিজের মেধা, প্রচেষ্টা ও একাগ্রতার মাধ্যমে তিনি নিজেকে অনন্য উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিবেদিতপ্রাণ এস. আলম। দেশের যে সব ব্যবসায়ী উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে চলেছেন এস. আলম তাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি একজন দুরদর্শী, নিরলস, পরিশ্রমী, দৃঢ়চেতা এবং অধ্যবসায়ী সফল শিল্পোদ্যোক্তা। যেখানে বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্হান সৃষ্টিসহ দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে ব্যাপক অবদান রাখছেন এস. আলম পরিবার, সেখানে প্রতিপক্ষের হিংসা তো হবেই। তাই তিনি নিজের জন্মস্থানের মানুষের জন্য দানবীর হয়ে চট্টগ্রাম তথা বাংলাদেশের হাজার হাজার মানুষের পাঁশে দাড়িয়েছেন এবং দাড়াচ্ছেন।
সম্প্রতি দক্ষিণ চট্টগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫ হাজার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন পটিয়ার রত্ন এস. আলম। শুধু তাই নয় মসজিদ, মাদরাসা, গৃহহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ, সামর্থ্যহীন ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে হজ্জ করানোসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, হাসপাতালের বিভিন্ন উপকরণ কিনে দেয়ার পাশাপাশি করোনা পরবর্তী হাসপাতালে আর্থিক সাহায্য করে গেছেন এস. আলম পরিবার। এভাবে বাংলাদেশের অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে আজ তিনি চট্টগ্রাম তথা গণমানুষের রত্ন হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
এস. আলম বেকারমুক্ত সমাজ এবং দারিদ্র্যমুক্ত পরিবার সৃষ্টির কারণে হাজার হাজার পিতা মাতার অন্তরে ঠায় করে নিয়েছেন। সাধারণ মানুষের মাঝে অনেকেই বলেন, চট্টগ্রাম জেলার মধ্যে অর্থবিত্তশালী অনেকেই আছেন কিন্তু জনাব সাইফুল আলম মাসুদ সাহেবের মত এইভাবে অসহায় মানুষের পাশে থেকে সাহায্যের হাত কেউ বাড়ায়নি। কারণ আমরা জানি মানুষের উপকার করার অন্যতম মাধ্যম হলো মানুষের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা।
কারো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে শুধু ব্যক্তি বিশেষের খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান হয় না; বরং তাদের পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনসহ বহু মানুষের রিজিকের ব্যবস্থা হয়ে যায়। আমরা দেখেছি বৈশিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন মানুষগুলো যখন কষ্ট পাচ্ছে তখনই জনাব সাইফুল আলম মাসুদ তথা এস. আলম পরিবার ছুটে গেলেন অসহায় হতদরিদ্র মানুষের কাছে। তাদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী, হাসপাতালগুলোতে ওষুধ, পিপি ও বস্ত্র বিতরণ করে এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
তাছাড়া তখন সরকারীভাবে সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে শ্রমজীবী মানুষ, বিশেষ করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো যখন লোক লজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু বলতে পারছে না। তখনই এস. আলম পরিবার খাদ্য সামগ্রী এবং নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হতেন। এ সামগ্রী এবং অর্থ তাদের হাতে দিয়ে বলতেন এটি কোনো ত্রান বা সাহায্য নয়, এস. আলম পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য উপহার মাত্র। তবে কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয়, মানব সেবা করাই তার মূল উদ্দেশ্য। এজন্যই এস. আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে জনগণের সামনে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে কিছু লোভী, স্বার্থনেষী মহল এই গ্রুপের ক্ষতি করার চেষ্টা করেছেন।
কিন্তু এসব গুজবে কাঁন না দিয়ে তিনি নীরবে নিভৃতে মানব সেবা করেই চলেছেন, সৃষ্টি করে চলেছেন বিভিন্ন পরিবারের জন্য নতুন নতুন কর্মসংস্হানের। সুতরাং সহানুভূতি এবং ভালবাসাকে বুকে লালন করেই তিনি তার এই মানবসেবা প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দেয়ার অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। মহান আল্লাহ হাজার হাজার পিতা-মাতার দোয়া কবুলের মাধ্যমে এস. আলমের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের অবসান করুন এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ লোকদের হেদায়েত দান করুন।