রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিবাসীর বাবা হত্যা,নিজেকে অপহরণ,মেয়েকে গুলিবিদ্ধ ও অপহরণ মুক্তিপন দিয়েও নিরাপত্তাহীনতা জীবনঝুঁকিতে অভিযোগকারী। ভুক্তভোগী ও মামলা বাদী ইসমাইল উল্টো টেকনাফ থানার এসআই আজহারুলের ফাঁদে পড়েন ধাপে ধাপে।
অপরাধীদের সাথে আঁতাত করে সত্য গভীরতা বাস্তব চিত্র তথ্য মামলার প্রমাণ আড়াল করতে সব রকমের সহায়তা করে। সাক্ষীদের ভয়-ভীতি প্রাণনাশের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় জীবনঝুঁকিতে পরিণত করে। সত্য অনুসন্ধান ও সঠিক তদন্ত না করে সুকৌশলে বাদী থেকে টাকা আদায় করে। ধাপে ধাপে আরো নানাভাবে টাকা দাবী করে। উল্টো মামলার বাদীকেই আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি করেন।
এবং বাদীর সহায়তাকারী স্বজনদের ও সাক্ষীদের জিম্মি করে, মামলা হামলা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে, মামলার ফাইনাল রিপোর্ট ভিন্নদিকে প্রভাবিত করে সব রকমের অপচেষ্টা চালিয়েছেন। অভিযুক্ত আসামিদের মামলা থেকে বাঁচাতে মামলার তদন্ত অফিসার যোগসাজেসে কাজ করছে দাবি ভুক্তভোগী ইসমাইলের।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন,১। আনসার উল্লাহ ২। সৈয়দ উল্লাহ ৩। আব্দুর রশিদ ৪। মোঃ হোসাইন ৫। ওমর ফারুক ও অজ্ঞাতনামা ৩ জন।
ঘটনাক্রমে,রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিবাসীর বাবাকে হত্যা,মেয়েকে গুলিবিদ্ধ ও অপহরণ করে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপন দিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। নিরাপত্তাহীনতা ও জীবনঝুঁকিতে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্বজনরা । টেকনাফ থানার এসআই আইনের সেবক আজহারুলের তদন্তের মামলার ফাঁদে মামলার বাদী ভুক্তভোগী ইসমাইল। মামলা নং ৬৬/৮৯৩, তাং ২৫/১২/২৩ ইং।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিবাসী ভুক্তভোগী ইসমাইল একাধিক অভিযোগ মামলা করেও রেহাই পায়নি। একই এলাকা রোহিঙ্গা নিবাসী নোয়াপাড়া গ্রামের, ব্লক-সি, নিবাসী হত্যাকারী দুর্বৃত্ত হিংস্র সশস্ত্র গ্রুপের হাত থেকে।
পুলিশের আইনী সহায়তার বিপরীতে একইরকমের দুর্বৃত্তায়ন,ঘোষ দাবি,অবিচার অমানবিক অভিযোগ টেকনাফ থানার এসআই মো: আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
আজহারুল মামলার ফাঁদে ফেলে উল্টো ভুক্তভোগীকেই জিম্মি করে গত ৮মাসে লাখ টাকা আদায়সহ আরো ৫ লাখ টাকার দাবি করে।
টাকা না দিলেই মামলার ফাইনাল চার্জশিট উল্টোপাল্টা করে দেবে বলে হুমকিধামকি ভয়-ভীতি আতঙ্কে নিরাপত্তাহীনতায় ভুক্তভোগী অভিযোগ তোলেন।
ভুক্তভোগী মামলার বাদী রোহিঙ্গা কমিটি মোঃ ইসমাইলকে হত্যার অপচেষ্টাকারী বেপোয়ারা হিটলার বাহিনী সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা তার পিতা-আবুল ফয়েজকে হত্যা করে। হত্যাকারীরা একই ক্যাম্পের টেকনাফ থানাধীন কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শরণার্থী।
তথ্যমতে, রোহিঙ্গাদের জাল সনদপত্র নকল পাসপোর্ট তৈরীতে মোটাংকের অর্থবানিজ্য,অস্ত্র মাদক ব্যবসা নানা অনিয়মের বিপক্ষে প্রতিবাদ করায় ভুক্তভোগী পরিবার প্রতিপক্ষ আসামিদের শত্রুতে পরিণত হয়। এর পর থেকেই একের পর এক হতে থাকে বিরোধের সুত্রপাত সংঘর্ষ রক্তপাত।
ঘটনাক্রমে ২বছর আগে গত ২৩ অক্টোবর আসামি আনসার উল্লাহ স্বশস্ত্র দুবৃর্ত্ত গ্রুপের আতাঁতে ইসমাঈলের মেয়েকে অপহরণে ২লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। গভীররাতে গৃহে হামলায় গুলিবর্ষণে এক মেয়ের পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৩ডিসেম্বর রাত ৩টায় নিজ গৃহের দরজা ভাংতে না পেরে দরজার ফাঁক দিয়ে ভুক্তভোগীকে হত্যার উদ্দেশ্য ২ (দুই) রাউন্ড গুলিতে শিশু মেয়ে উম্মে সালমা (১২) পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাবাকে নয়াপাড়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হতে শারীরিক অসুস্থ্যতায় চিকিৎসা গ্রহণে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে রেফার্ড করে। যাওয়ার পথে বিবাদীরা ইসমাইলকে গুলি ছুড়লে সেই গুলিতে বাবার মৃত্যু হয়। আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছোটাছুটি ও দৌড়াতে থাকে।
অভিযোগকারী ইসমাইল বলেন, একের পর এক প্রাণনাশের অপ্রচেষ্টাসহ আক্রমণের শিকার হন তিনি ও পরিবার। পূর্ব শত্রুতা,প্রতিহিংসা জেরে আমাকে হত্যা করতে গিয়ে বাবাকেই মেরে ফেলেন।
বর্তমানে একদিকে ভয়ভীতি ও হুমকিতে হত্যাকারী খুনিরা অন্যদিকে পুলিশের হয়রানি পেরেশানিতে অসহায় নিরুপায় নিরাপত্তাহীনতায় জীবনঝুঁকিতে রয়েছেন বলে জানান। গত দুই বছর আগে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপহরণের অভিযোগ। ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ আদায়। ৮মাস হয় হত্যাকাণ্ডে মামলা করেও উল্টো নিরাপত্তাহীতা ও মামলার ফাঁদে ভুক্তভোগী ইসমাইল।
উক্ত মামলার তদন্ত অফিসার এসআই মো: আজহারুল ইসলাম উক্ত বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হত্যা মামলাটি শুরু থেকেই আমি বাদীকে সব রকমের সহায়তা ও সহযোগিতা করেছি। এখনো সহয়তা করছি যতটুকু সম্ভব হয় করবো। কিন্তু মামলার সাক্ষী পাওয়া না গেলে আমার কি করার আছে ? সরেজমিনে আপনারা ঘটনাস্থল এবং এলাকায় গেলে বাস্তবে সবকিছুই বুঝতে ও জানতে পারবেন। সঠিক তথ্যে ও স্পষ্ট সত্যতায় সবকিছু তখন দেখবেন এবং জানতে পারবেন। আমি তখনো সহযোগিতা করছি এখনো করবো। সহযোগিতা করছি না তা কিন্তু ঠিক না।
সাংবাদিক অনুরোধ করে এসআই আজহারুলকে বিষয়টি বিস্তারিত বলার জন্য। সেইসাথে ভুক্তভোগীর মামলার পেছনে তার আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি আর্তনাদ আহাজারির উল্টো নিরাপত্তাহীনতার কথা জানালে তিনি উত্তরে বলেন, মোবাইলে সবকথা বলা যাবে না। সব কথা বলা সম্ভব নয়। সরাসরি আসেন, আসলে বিস্তারিত বলবো বলে। তিনি সাংবাদিকের কথা না শুনেই কেটে দেন।
আইনের সেবক হিংস্র আজারুল হাত থেকে বাঁচতে ও জড়িত অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ভুক্তভোগীর পরিবার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও সচেতন এলাকাবাসীর।