মোহাম্মদ মাসুদ
চট্টগ্রাম : দেশব্যাপী চাঁদাবাজি অনিয়ম দুর্বৃত্তায়ন দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে ও ষড়যন্ত্রকারীদের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সারাদেশে ছাত্ররা আন্দোলনের হুঁশিয়ারি হুমকি দেন। এরই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামেও আন্দোলনের ডাক দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা।
চাঁদাবাজি লুটপাট সিন্ডিকেট মানুষকে হয়রানি নানা জটিলতা ও অনিয়মের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
দেশব্যাপী লুটপাট ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রয়োজনে মাঠে থেকে প্রতিহত করবে ছাত্র জনতা। অপক্ষমতাধারী রাজনৈতিক দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দেন আজকের আন্দোলন মাঠ থেকে।
৪ সেপ্টেম্বর (বুধবার) দুপুরে চট্টগ্রাম ষোলশহর দুই নাম্বার গেট রেলস্টেশন থেকে এমন ঘোষণা দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে।
দুপুর ১২টার দিকে নগরীর ষোলশহর রেল স্টেশন থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে দুই নম্বর গেইট বিপ্লব উদ্যানে এসে পথসভায় মিলিত হয়।
মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক রাসেল, রাফি, ওমর ফারুক, অরেফিন, আব্দুর রহমান প্রমূখ।
সমন্বয়ক রাসেল বলেন- এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগীতার আহবান জানান। কোথাও কোন অন্যায় সংঘটিত হলে বৈষম বিরোধী ছাত্ররা তা প্রতিহত করবে।
পথ সভায় সমন্বয়ক রাফি বলেন- দেশ ব্যপী নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস ও বৈষোম্য মুক্ত করতে ছাত্ররা রাজপথে প্রাণ দিয়েছে। ছাত্র-জনতার সফল আন্দোলনে সৈরাচার হাসিনার পতন হয়ে। কোন দলকে চাঁদাবাজি আর নৈরাজ্যের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ছাত্র-জনতা আন্দোলন করেনি। সৈরাচারের পতনের পর দেশে চাঁদাবাজি আর লুটপাট বেড়ে গেছে। দেশ তথা চট্টগ্রামে এভাবে বিশৃংখল পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায়না। এখন থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা মাঠে নেমেছে। লুটপাট আর চাঁদাবাজির সাথে কেউ জড়িত থাকলে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে।
এ সময় আন্দোলনরত ছাত্ররা রাজপথে সকল অনিয়ম অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কুশিয়ারি দেন। দেশের দুরদিনে সংকটকালীন ক্লান্তিলগ্ন জরুরি মুহূর্তে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই স্বার্থ-সুবিধা আদায় করে নিচ্ছে। অনিয়মের বিরুদ্ধে অন্যায় কর্মকাণ্ডে চাঁদাবাজি অপক্ষমতা আধিপত্যের ফ্যাসিসবাদী স্বৈরাচার সরকারে পালা বদলে আবারো শুরু হয়ে গেছে লুটপাট রাজনীতি প্রতিহিংসা প্রতিশোধের মহড়া। যার কোনভাবেই কাম্য নয়।
চট্টগ্রামের সর্বস্তরের ছাত্রদের একত্বতায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যে কোন অন্যায় প্রতিহত করা হবে। প্রয়োজনে আবারো রাজপথে নেমে আন্দোলন সক্রিয় করার হুশিয়ারী দেন।
উল্লেখ : বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামে প্রথম শহীদ ওয়াসিম। আন্দোলনে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অন্তত এক হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার। আর এসবের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে কাজ করেছে কিছু শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তা শতাধিক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী। সরকার পতনের ১মাসে মধ্যেই আবারো রাজপথ আন্দোলনে নামতে হয়েছে ছাত্রদের। আগের রাজনৈতিক অপশক্তির ছত্রছায়ায় আবারো ব্যংঙের ছাতার মতো রাজনৈতিক অপশক্তির নাম ভাঙ্গিয়ে নানা গ্রুপসংঘর্ষ জটিলতা সাধারণ মানুষের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দখল লুটপাট চাঁদাবাজি নানা জটিলতা ফাঁকে ফাঁদে সুকৌশলে অন্ধকারাছন্ন ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। যা হজারো ছাত্রদের রক্তের সাথে বেইমানি বিশ্বাসঘাতগতা ছাড়া আর কিছুই নয়।