প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে অনেককিছু পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছে বিশেষত কোন ঋতুচক্রই এখন আর সময় নির্ধারিত নয়, বিভিন্ন কারণে পাহাড়ধস রোধ করা প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। একদিকে প্রভাবশালী চক্রের দখলদারিত্ব অন্যদিকে বিপুল সংখ্যাক জনগোষ্ঠীকে নির্দিষ্ট স্থানে পুনবার্সন প্রক্রিয়া বেশ জটিল। আগাম সতর্কবার্তাকে জনগণ দৃশ্যমান অবস্থার প্রেক্ষিতে বিবেচনা করে থাকে তার পূর্বে অনুমেয় বিষয়গুলো জনগণ সাধারণত গ্রহণ করেনা। চট্টগ্রামে প্রশাসনের বেশকিছু সেইফ স্পেস রয়েছে কিন্তু প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগ কে সফল করতে সকল মহলের সহযোগিতা বিশেষ করে এনজিও সংস্থার সহযোগিতা প্রয়োজন। পাশাপাশি সফটওয়ার ডেভেলপমেন্ট, গবেষণা পত্র, মোটিভেশান, প্রিপাডনেস, রেসকিউ, কো-অর্ডিনেশন প্রয়োজন রয়েছে। ২৯ সেপ্টেম্বর -২০২৪ খ্রী. চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সভাকক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন ইপসা, রাইমস ( টেকনিক্যাল পার্টনার) ‘র বাস্তবায়নে “Anticipatory Actions for Landslides Causing Displacement of the Communities of Chattogram District of Bangladesh” প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় এমনটি মন্তব্য করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মো. তোফায়েল ইসলাম। সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন ইপসার পরিচালক ( সমাজ উন্নয়ন) মিসেস নাছিম বানু, প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন সেভ দ্য চিলড্রেন ম্যানেজার মিসেস ফাতেমা মেহেরুন্নেছা, প্যানেল আলোচক ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা জনাব নজরুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম ‘র উপ পরিচালক মিসেস শেলিনা আক্তার, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. নুরুল করিম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইকবাল সরোয়ার ( ভূগোল) ,ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, চট্টগ্রাম উপ পরিচালক দীনমনি শর্মা, সহকারী পরিচালক মো. আবদুল্লাহ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নগর পরিকল্পবাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক কিশোয়ার জাহান চৌধুরী, সেভ দ্য চিলড্রেন ম্যানেজার ( এন্টিসিপেটোরী এ্যাকশন) জাবেদ মিয়াদাঁদ, চসিক সমাজ, বন ও বস্তি উন্নয়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মঈনুল হোসেন জয়, ইপসা প্রজেক্ট ম্যানেজার সানজিদা আক্তার, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. প্রবাল বড়ুয়া, ১৪ নং ওয়ার্ড সচিব মুজিবুর রহমান, সিপিপি নগর কো অর্ডিনেটর মো. ঈসা প্রমূখ। উল্লেখ্য পাহাড়ধসে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ওয়ার্ড হিসেবে বিবেচিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনবের ৩টি ওয়ার্ড যথাক্রমে ১৪ নং লালখান বাজার ৯ নং উত্তর পাহাড়তলী, ৭ নং পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ডে এবং বাঁশখালী উপজেলার সাধনপুর ও পুকরিয়া ইউনিয়নে (জুলাই -২০২৪ থেকে ফেব্রুয়ারি-২০২৬) প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। মূলত এই প্রকল্পটি প্রকল্পভূক্ত এলাকায় পাহাড়ধসের জন্য আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ। পাহাড়ধসের প্রভাব কমাতে সময়মত এবং কার্যকর সতর্কতা নিশ্চিত করা এবং এর সমস্যা, গ্যাপ শনাক্ত করে এবং কংক্রিট সমাধান প্রস্তাব করে। এছাড়াও প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, নগর স্বেচ্ছাসেবক, শিশু ও যুব সংগঠকক, রিসোর্স পুল, ইন্টারপ্রিটার পুল সহ বিভিন্ন গ্রুপ ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, কনসালটেশন সভা, ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সচেতনতা আনয়ন, ভয়েস মেসেজ ও সেক্টর ভিত্তিক আবহাওয়া বার্তা প্রদান, ঝুঁকি নিরূপণ প্রতিবেদন তৈরি, স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে এডভোকেসী, গবেষণা কর্ম এবং কমিউনিটি পর্যায়ে হাইজিন কিডস, কিচেন কিডস প্রদান, শর্ত ও শর্তবিহীন ক্যাশ সাপোর্ট, রেইন গেইজ, মাটির আদ্রতা পরিমাপক ডিজিটাল ডিভাইস স্থাপন সহ বিভিন্ন সহায়তা প্রদান করবে।