চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা একটি দূর্যোগ প্রবণ এলাকা, এখানকার মানুষ ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদী ভাঙ্গন, পাহাড়ধ্বস ও পাহাড়ী ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পাহাড়ে বসবাসকারী জনসাধারণ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে সহায় সম্পত্তি হারিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে এবং বিভিন্ন সময় পাহাড় ধ্বসে বিপদপান্নের সসম্মুখীন হচ্ছে। বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসন দুর্যোগ কবলিত মানুষের পুনবার্সন ও সচতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে এক্ষেত্রে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ইপসা সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, জনপ্রতিনিধি, সরকারী বিভিন্ন সংস্থা, কমিউনিটির মানুষ সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা প্রয়োজন। ৯ অক্টোবর বুধবার সকালে বাঁশখালী উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় সেভ দ্য চিলড্রেন এবং ইয়ং পাওয়ার ইন সোশ্যাল এ্যাকশন ইপসা, রাইমস ( টেকনিক্যাল পার্টনার) ‘র বাস্তবায়নে “Anticipatory Actions for Landslides Causing Displacement of the Communities of Chattogram District of Bangladesh” প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় এমনটি মন্তব্য করেন অনুষ্টানের প্রধান অতিথি বাঁশখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.জসীম উদ্দিন।
তিনি আরো বলেন, এই ব্যতিক্রমী বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে দূর্যোগের আগাম সংকেত প্রদান, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা, পাহাড়ধ্বস প্রতিরোধে জাতীয় নীতিমালা প্রণয়নে এডভোকেসি কৌশল প্রণয়নে উপজেলা প্রশাসন সর্বাত্বক সহযোগিতা করে যাবে। উন্নয়ন কর্মী কল্যাণ বড়ুয়ার সঞ্চালনায় সভায় প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ইপসার প্রকল্প সমন্বয়কারী ড. প্রবাল বড়ুয়া, আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা, সুপন কুমার নন্দী, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম চৌধুরী শাওন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শওকতুজ্জামান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কুহেলিকা সরকার, উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা সৈয়দ আবু সুফিয়ান, বাঁশখালী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোতোষ দাশ, বন বিভাগের সাধনপুর বনবিট কর্মকর্তা মো. আল আমীন, উপজেলা এনজিও সমন্বয়কারী মো. নজরুল ইসলাম, সিপিপি লিডার ও ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান প্রমুখ।
উল্লেখ্য এই প্রকল্পটি প্রকল্পভূক্ত এলাকায় পাহাড়ধসের জন্য আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার একটি পদক্ষেপ। মূলত এটি পাহাড়ধসের প্রভাব কমিয়ে আনতে সময়মত এবং কার্যকর সতর্কতা নিশ্চিত করা, এর সমস্যা, গ্যাপ শনাক্ত করে কংক্রিট সমাধান প্রস্তাব করে। এছাড়াও পাহাড়ধসের পূর্বাভাস ভিত্তিক ও সেক্টর ভিত্তিক আবহাওয়া বার্তা প্রদানের ঝুঁকি কমিয়ে আনা, রেইন গেইজ, মাটির আদ্রতা পরিমাপক ডিজিটাল ডিভাইস স্থাপন সহ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে নীতিমালা প্রণয়নে এডভোকেসী কার্যক্রম পরিচালিত হবে।