আরেক বসন্ত
মৃত্তিকা, তোর বুকে আজ স্পষ্টত দেখতে পাই
মেঘবৃষ্টি,
ভেজাবে পোড়াকাঠ, সম্মুখে দাঁড়িয়ে থাকা-
দেবদারু, শুঁড়ি পথ!
কিছুটা চোখ মেলে তাকাবে অচল জানালা,
পায়ের ছাপ রেখে হাঁটবে শতাব্দী পুরোনু প্রাসাদ,
মুছে যাবে দেহের ঘাম, ক্রোধ, নষ্ট বাতাসের গন্ধঘ্রাণ!দৃশ্যত জলের তোড়ে ভেসে যাবে- নিদারুণ শুষ্কতা
মৃত্তিকা, তুই আজ ভীষণ সতেজ, নির্মল নিষ্পাপ!তোর- সতেজ ছোঁয়ায় আমিও ভিজতে চাই
অনির্দিষ্ট আদিম নেশায় অবিরত জেগে উঠুক
আমার বিষণ্ন আঙিনা, নিভে যাক বিষাদের নীল শিখা!তোকে- আজ পড়িয়ে দেবো নীল শাড়ি, নীল টিপ
গোলাপি ঠোঁটে এঁকে দেবো অজস্র চুম্বন!
তোর আলোকজ্বলা মুখ থেকে আলো ছড়িয়ে-
জেগে উঠুক আরেক বসন্ত।অযৌবনা রমণীর বুকে
হঠাৎ-ই বুকের ভেতর কেউ একজন বসিয়ে দিয়েছে বিষদাঁত
তবুও উৎসুক চক্ষুমণিতে ক্ষীণ দৃষ্টিপাত করে
ইন্দ্রিয়ের মনোজ্ঞ প্রসারতায়- মহান বিনয়ে ফিরে এসে দেখি
পিতৃসম বৃদ্ধার চোখে শ্মশানের ভাঁজ!অতপর রোদ্দুরের বদলে হাঁটতে শুরু করি বিস্তীর্ণ অন্ধকারে
সেখানটায় অবিকল দুঃখের মতন শব্দ!
বুকের সমস্ত সুর, স্পন্দন বিসর্জন দিয়ে আমি হাঁটছি,
হাঁটছি- অযৌবনা রমণীর বুকে, ভেতরে রক্তের প্রবাহমান স্রোত
এভাবেই দীর্ঘশ্বাসহীন জীবনের কাছে যেতে যেতেই বেজে উঠে প্রতি বিপ্লবের সুর।দালানের চূড়ায় নির্মিত ব্যকরণে
বয়োবৃদ্ধ এক নারী ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে আছে
দু-মুঠো অন্ন না পেয়ে দায়ী করছে বিধাতাকে!
একটি শিশু ডাষ্টবিন থেকে থেকে কুড়িয়ে খাচ্ছে উচ্ছিষ্ট
সেই জানেই না কার কাছে জানাবে অভিযোগ!
অথচ আমরা ভেবেই নিয়েছি বৈষম্যে বিলোপিত হয়েছে
কীর্তিমান পালক পুরুষদের জয়মাল্য পড়িয়ে
দিব্বি উল্লাস করছি!নির্বোধের ক্রোধ, ক্ষোভ কিংবা কন্ঠনালী
আদৌ কী পরাজিত করতে পেরেছে ভূস্বামী
নাকি শোচনীয় ভাবে আটকে গেছে?
নিরব চোখের দু’ কোণে ঝরে পড়া অশ্রুজলে
আদৌ কী ফিরিয়ে আনতে পেরেছি উন্মুক্ত বাতাসের ঘ্রাণ? স্বপ্নের বালুচর?বস্তুত আমরা খেলার পুতুল, দালানের চূড়ায় নির্মিত ব্যকরণে….
আমদের স্বপ্নগুলো হেরে যায় বারবার!
গলাবন্ধ মগর জীবন কিংবা হতে পারে একখন্ড কাঠ!
