শহিদ মিয়া বাহার
চারুমনি
না হয় ছুঁড়েই ফেলে দিও তন্দুরি বখাটে হৃদয়
ফিরে আসার ওকালতনামা
তোমার নামে লিখা তিন হরফের খতিয়ান!
তোমার পাস্তুরিত বুকের তরলে আমার দালিলিক কোনো হিস্যা নেই
চলে যাবার আগে তবু ফিরে দ্যাখো
জানালার ওপাড়ে উদভ্রান্ত তিতিরের ভেজা ভেজা চোখ
গল্পকথা শিরিষের ডাল আর পাতা–
দুলছে —- দুলছে—-!না হয় ছুঁড়েই ফেলে দিও
দুই পৃষ্ঠার জীবন বন্ধকীনামা
দুই আঙ্গুলের ছাপে আঁচল বন্ধনের গিঁট
তবুও ফিরে দ্যাখো–
ভোরের দ্রাঘিমায় কুয়াশার কান্না ছেঁকে মহাসড়কে পেতে রেখেছি
যৌথ যাপনের কাবিন
আমাদের অঙ্গীকারনামা—-
ইস্তেহার, কসম!চারুমনি
একদিন হলফনামায় জমা রেখেছিলে
তিন কবুলের প্রেম—
হৃদয় পোড়া গন্ধ পুষে রাখার গন্ধমী নরক
ফিরে দ্যাখো–
আকাশের সিঁথিতে ঝুলছে রাতের পেথেডিন
দীর্ঘ যন্ত্রনার আফিম!তোমার লিপস্টিক আগুনে বাতাসেরা রঙধনু আঁকে
দারুণ সংক্রমিত সময়
পুড়ে গ্যাছে পাইনের বন–
বক, শালুকের দীঘি
বুকের শিরায় পুড়ছে
তিন শপথের নীল ইরাবতী
ফিরে দ্যাখো চারুমনি
চোখের অক্ষরেখায় কূল খুঁজে ফেরে
বিস্মরণের জমজম!
