দেশের নাগরিক নিরাপত্তায় প্রশাসনের প্রতি পূর্ণ আস্থা ফেরাতে যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করা হবে। ছিনতাই, মাদক, চাঁদাবাজি ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে সাঁড়াশি অভিযানসহ যেকোনো বেআইনি অনিয়ম প্রতিরোরোধে তৎপরতা জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলাম।
তিনি বলেছিলেন, প্রতিটি ঘটনায়ই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতির যারা অপতৎপরতা চালাতে চায় তারা মুষ্টিমেয়। আইজিপি হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে বলেন, কোনো ঘটনা ঘটিয়ে কেউ পার পাবে না।
রাজনৈতিক পরিচয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯, কন্ট্রোল রুম সার্বক্ষণিক চালু রয়েছে। যেকোনো অঘটন নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সংক্রান্তে যেকোনো সংবাদ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের নির্দেশ প্রতিফলন বাস্তবায়নে নির্দেশনা দেন। জনবান্ধব আইনি ও সেবায় সক্রিয়তা কার্যক্রম পদক্ষেপে আইনী দায়িত্বশীলদের সবরকমের সহায়তা প্রদান করা নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনে যারা নিহিত নিয়োজিত আছেন তাদের।
উল্লেখ্য : গত অক্টোবরে হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় পূজা উদযাপনের আনুষ্ঠানিক নিরাপত্তায় ও দেশের সার্বিক নাগরিক নিশ্চিত নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জনবান্ধব আইনি সেবায় কি এসব কথা বলেছিলেন।
বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলম কর্মজীবনে তিনি পেশাদার ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে সুপরিচিত। তিনি অত্যন্ত সততা, দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের সাথে বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২০ সালে অবসরপ্রাপ্ত উপ–পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বাহারুল আলমকে আইজিপি নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে আইন অনুযায়ী শর্ত সাপেক্ষে দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ প্রদান করা হয়।