রাসূলের সৈনিক
রাসূলের সৈনিকেরা জাগ্রে এবার নিদ্রা থেকে,
ছুটে চল্ রণাঙ্গনে তাকবীরের ধ্বনি হেঁকে।
তারিকের মত মোরা করবো বিজয় সারা ভূবন,
রুখবো সকল বাধা নাস্তিকতা করবো শুধন।দল্বো দু’পায়েতে সকল বাধা পাহাড় সমান,
বক্ষে গেঁথে নেবো দ্বীনের লাগি গুলি- কামান।
উঠবে দ্বীন বিজয়ের সূর্য আবার পূর্ব থেকে,
বাতিলের আঁধারে আজ সারা ভূবন যাচ্ছে ঢেকে।হস্তে ধর্রে এবার শক্ত করে নাঙ্গা কৃপাণ,
আমামা পরে শিরে দৃঢ় কর্রে নিজের ঈমান।
জাগ্রে নির্ভয়ে আজ নবিন-প্রবিন, বীরের জাতি,
জ্বালবো ভূবন জুড়ে দ্বীন ইসলামের নতুন বাতি।ছাড়্ রে হুংকার এবার রণাঙ্গনে অগ্নি সুরে,
উড়বে বিজয় নিশান সেদিন তো নয় বহু দূরে।
রক্তের নদী এবার যাক বয়ে যাক এঁকে বেঁকে,
ছুটে চল্ রণাঙ্গনে তাকবীরের ধ্বনি হেঁকে।আর নয় ঘুমের ঘরে জাগরে এবার যুবক-তরুণ,
উঠবে ভূবন জুড়ে দ্বীন বিজয়ের নব্য অরুণ।
বাতিলের ঘরে ঘরে আমারা এবার জ্বালবো আগুন,
ওরা তো মানুষ নহে ওরা হলো হিংস্র শকুন।রাসূলের সৈনিকেরা করিস না ভয় ঢাল্- তলোয়ার,
আল্লাহ আছেন সাথে সর্ব শক্তি হস্তে যাহার।
শহিদের জান্নাত পাবে নির্বিচারে, যাবি কে কে?
তবে চল্ রণাঙ্গনে তাকবিরের ধ্বনি হেঁকে।উচ্ছেদ করবি রে শির দ্বীন বিরোধী করবে যারা ,
কুরানের সৈনিকেরা করবে না ভয় কভূ তারা।
বাতিলের রক্ত গাঙে ভাসবে এবার বিজয় তরী,
বলবো তাকবির মোরা উঁচ্চস্বরে প্রাণটা ভরি ।রক্ত থাকতে দেহে ফিরিস না তুই জিহাদ থেকে,
ছুটে চল্ রণাঙ্গনে তাকবীরের ধ্বনি হেঁকে।রিক্সাওয়ালা
রিক্সা চালাই তাই তো আমি
অনেক ছোট লোক,
তাই তো সবাই দেখে আমায়
অবহেলার চোখ!রিক্সা চালাই তাই আমার
গাছ তলাতেই ঠাঁই,
কারো কাছে একটু খানি
মর্যাদা মোর নাই!ছোট-বড় সবার কাছেই
শুনি কটু কথা,
গরীব বলে বুঝে না কেউ
আমার মনের ব্যথা।রিক্সা চালাই তবুও তো
আমি একজন মানুষ,
আমার কথার কোনো দাম নেই
তাই তো থাকি খামুশ।বাবুই পাখি
তোমরা কি ভাই দেখছো কভু
বাবুই পাখির ঘর?
কতো ভালো বাসা বানায়
হরেক রকম খড়!তারা কি ভাই তোমার মতো
পাঠশালাতে যায়?
তবুও তারা, এমন বিদ্যা
কোথা থেকে পায়?কে শেখালো তাকে
করতে কলরব?
আর কেহ নয়, তিনি হলেন
আল্লাহ মহান রব!কে শেখালো উড়তে তাকে।আজকে একটা গল্প বলা যাক
বড় বোনের বিয়ের দিন ছোট ভাই তার বোনকে বললো: আপু! তোমরা এমন কেন! যে বাড়িতে, যাদের সাথে ছোট থেকে বড় হলে, যাদের সাথে এতটা দিন থাকলে, আজ তাদের সবাইকে ছেড়ে স্বার্থপরের মতো অন্যের ঘরে চলে যাবে!
আপু! তুমি কি আমাকে ভুলে যাবে?!
তুমি না আমাকে কত্তো আদর করতে?
মা যখন আমাদের জন্য কোনো খাবার রেখে দিতো, তুমি অল্প খেয়ে আমাকে বেশি খাওয়াতে।
আমি কোনো দুষ্টামি করলে আব্বু – আম্মু যদি আমাকে বকা দিতো, তাহলে তুমি আমার মাথায় স্নেহের হাত বুলাতে!
আপু! তুমি আমাকে ভুলে গেলেও আমি তোমাকে ভুলতে পারবো না।
জানো আপু! তুমি আমাকে যে স্নেহ আর ভালোবাসা দিয়েছো, সেই ভালোবাস মায়ের ভালোবাসার সমপরিমান নাহলেও উভয়টার মাঝে বেশি পার্থক্য নেই।
আপু! আজ তুমি তোমার ছোট ভাইটিকে একা ফেলে চলে যাবে, জানো আপু! আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।
তুমি কি আমাদের ছেড়ে থাকতে পারবে?
আমাকে ভুলে যাবে?
জানো আপু! যেদিন তোমার বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেদিন রাতে ঘুমাতে গিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে আমি খুব কান্না করেছি।
তোমার স্মৃতিগুলো বারবার চোখে ভেসে ওঠে।
তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে, এটা ভাবলেই আমার চিৎকার করে কান্না আসে।
ছোট ভাইয়ের মুখে এমন অভিমানপূর্ণ কথা শুনে,
বোনের হৃদয়ে যেন বিশাল এক কষ্টের পাহাড় ভেঙে পড়লো।
কষ্টে হৃদয়টা যেন চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেলো!
চোখ থেকে অবিরাম অশ্রু ঝরতে লাগলো।
শত চেষ্টায় সকল কষ্টগুলোকে চেপে রেখে ভাইয়ের মাথায় স্নেহের হাত বুলিয়ে বড় বোন বললো: ভাই রে! এটাই যে নিয়ম। আমরা মেয়ে মানুষ; জন্মের পর থেকে বিয়ের আগপর্যন্ত পরিবারের ভালোবাসায় বেড়ে ওঠা।
আবার বিয়ের পর নিজ পরিবার, মা-বাবা,ভাই-বোন সবাইকে ছেড়ে অন্য পরিবারের দিকে পা বাড়াতে হয়।
তোদের ছেড়ে যেতে আমার অনেক কষ্ট হবে।
কিন্তু সকল কষ্টকে উপেক্ষা করতে হবে আমাকে।
শুন ভাই! রক্তের বাঁধন কভু ছিঁড়ে যায় না।
ভাই-বোনের ভালোবাসা কভু মিথ্যা হয় না।
কিন্তু পরিস্থিতি আর নিয়ম রক্ষার্থে কিছুটা দূরে থাকতে হয়। কিন্তু এই দূরে থাকা ভুলে থাকা নয়। আমি তোকে ভুলবো না। তুই আমার রক্তের বাঁধনে আবদ্ধ আছিস; থাকবি সারা জীবন।
এবার ছোট ভাই চোখের অশ্রু মুছতে মুছতে বললো: আপু! পৃথিবীর সকল বোনেরা যদি তোমার মতো ভাইয়ের ভালোবাসাটা বুঝতো, তাহলে কোনদিন ভাই-বোনের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি হতো না। সকল ভাই-বোন এক বাঁধনে আবদ্ধ থাকতো সারাটি জীবন।ছাত্রজনতা
আমরা সকল ছাত্রজনতা
ধরেছি বিজয় পাল,
রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি
তবুও ছাড়িনি হাল।সৈরাচারী রুখেছি আমরা
রুখেছি শোষক জাতি,
অত্যাচারের আঁধার কেটে
জ্বলেছি আলো বাতি।মোদের রক্তে সবুজ বাংলা
হয়েছিল লালে লাল,
রক্ত দিয়েছি, শহীদ হয়েছি
তবুও ছাড়িনি হাল।আমরা ছিলাম শোষক জাতির
হিংস্র থাবার তলে,
বিজয় হয়েছি জেগেছি যবে
স্বাধীনতার বলে।আমরা ছিলাম এই দেশেতে
ভাড়াটিয়ার মতন,
মৃত্যু ভুলে জেগেছি যখন
পেয়েছি বিজয় রতন।বাবা
বাবা তোমার হাতটি ধরে
পথ চলা মোর শুরু,
বাবা তুমি এই জীবনের
সর্বপ্রথম গুরু।বাবা তুমি আশার আলো
আমার সকল সুখ,
বাবা তোমায় দেখলে আমি
ভুলি সকল দুখ্।বাবা তুমি রোজ নিশিতে
চাঁদের মৃদু হাসি,
সত্যি আমি বাবা তোমায়
অনেক ভালোবাসি।
