অনেক ভালবাসার প্রিয় স্বদেশ। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধু, ত্রিশ লক্ষ শহীদ, দুই লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমহানী, লাখো বাঙালীর মুক্তিযুদ্ধে পঙ্গুত্ব বরণ সব কিছুই আমাদের চেতনার অনিবার্ন শিখা।
প্রিয় স্বদেশ কে দেশের মানুষ প্রাণভরে ভালবাসে, ভালবাসার প্রকাশ আমরা দেখেছি নানাভাবে ২১শে ফেব্রুয়ারী, ১৬ই ডিসেম্বর, ২৬শে মার্চ এলেই এইদেশের আপামর মানুষের প্রাণের স্পন্দন বুঝা যায়। শিশু-কিশোর, যুবা কিংবা বৃদ্ধ সকলের মাঝে অন্যরকম অনূভূতির প্রকাশ ঘটে। ছোট বেলা থেকে দেখেছি বিশেষ দিনগুলোতে মা-বাবারা শহীদ মিনারে যাবার প্রস্তুতিকল্পে ফুল সংগ্রহ (অন্যর বাগান থেকে তুলে আনা) পোস্টার, ব্যানার, ফেষ্টুন বানানো, রাত জাগার ক্ষেত্রে পচ্ছন্ন প্রশ্রই দিতো।
বন্ধুদের ক্ষেত্রেও একই মনোভাব দেখতে পেতাম। বিজয়ের গান, দেশাত্ববোধক গানের প্রতি আকুলতা ছিল অবারিত। বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় বীরদের প্রতি অধিকাংশ মানুষের ভালবাসার চরম প্রকাশ দেখেছি, উপলব্ধি করেছি। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আজ অনেক কিছুতে সেই আবেগ সে অনুভূতি খুঁজে পাই না। সবকিছুতে বিভাজন পরিলক্ষিত। আজকের যে প্রজন্ম কেন সে এই বিভাজনের শিকার হবে? তার জন্য কেন ইতিহাসের শিক্ষা একই রকম হবে না? কেন সে দেশকে ভালবাসার গভীরতম চেতনার যায়গাটুকুতে ক্ষত অনূভব করবে? ইতিহাসের বিভাজিত শিক্ষার জন্য কারা দায়ী? জাতির পিতাকে কেন দলীয় অবস্থান থেকে দেখা হবে? রাজনীতির ভুল পাঠ কিংবা প্রতিহিংসার বদৌলতে প্রজন্মের চেতনা বিনষ্ট হওয়ার দায়ভার কি কেউ এড়াতে পারবে? দেশকে ভালবাসা, গৌরবময় ইতিহাসের প্রতি পক্ষপাতহীন শ্রদ্ধা নয় কেন? সব কিছুর জন্যই দায়ী আমাদের অপরাজনীতি তথা গণতন্ত্রহীনতা। তরুণ প্রজন্ম যারা আগামীর বাংলাদেশ গড়বে তাদের মধ্য রাজনৌতিক প্রতিহিংসার যে মনোভাব তৈরী করে দেয়া হয়েছে তা শ্রেণীস্বার্থেই।
যা আগামীর বাংলাদেশ গড়ার জন্য চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। রাজনীতির ভুল বিচারে বিনা অপরাধেও হাজার হাজার তরুণ, যুবক মামলা, হামলার শিকার হয়ে সুন্দর ক্যারিয়ার ধ্বংস করছে। এক্ষেত্রে উদার রাজনৈতিক চর্চা তথা সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে হবে। আগামীর বাংলাদেশের বিনিমার্ণ হোক প্রতিহিংসা মুক্ত, সুন্দর! অবারিত হোক মত প্রকাশের স্বাধীনতা। প্রতিটি মানুষের আস্থার প্রতিফলন হোক প্রিয় বাংলাদেশ। পরিশেষে সবাই কে জানাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা