ঢাকা, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১, ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
স্মরণ সভা সফলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ:চসাস
হাটহাজারী উপজেলায় ১৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মিরসরাই ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বাংলাদেশেকে ঘিরে ভারত, আমেরিকা, চীনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের অর্ন্তনিহিত কারণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ
চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র,কার্যবিধি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা
কিশোর গ্যাং- সমাজের অবক্ষয় ও করণীয়
বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা বিক্ষোভ প্রতিবাদ
সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন:সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অদম্য একুশ ‘র আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও ঈদ পুনর্মিলনী

কবি রোকসানা রহমান  এর পাঁচটি কবিতা

ধূলো মাটির কান্নার ফুল

নির্জনতার মৌন সম্পর্কের গভীর প্রনয়ের
উপকুলে  দাঁড়িয়ে চেয়ে থাকি উদীয়মান
সূর্যের দিকে।
অথচ সে  দূর দিগন্তে বসে কখনো আবেগী, খেয়ালী উদাসীন হয়ে ওঠে।
জানিনা ঈশ্বর তখন কেন নিশ্চুপ হয়ে যান!
তখনই আত্মার আঙ্গিনায় হতাশায় রক্তশিরায়
ভেতর ফিসফিস করে বলে উঠে  এই বরফ সমুদ্রের ভিতর কি বেঁচে আছো —
তার উদাসীনতার ভেতর!
তবুও কেন যে বেঁচে আছি  স্বপ্নের আগুন দেবতার খেয়ালী আত্মার গ্রন্থে।
অর্ধমৃত থেকে ফের যেনো  জন্মেছিলাম ছায়া দেবতার স্পর্শে, নবীন চৈতন্যের আগুনে ডুবে গ্যাছি, মায়া, ভালোবাসার ত্যাগের,মহিমায় ভেসে বেড়াই
আদি মহাশূন্যজানে।
কখনো সে স্রোতের টানে ভাসিয়ে নিয়ে ছুটে চলে ওষ্ঠের দেয়ালে ফুটিয়ে দিয়ে ফুল, ছড়িয়ে দেয়
সূর্যউত্তাপে ফিসফিসিয়ে কেবলই বলে যায়,  উচ্ছসিত কন্ঠে শুধুই  আমার। এই নির্জনতার কক্ষে রেখে গ্যাছে সে সূর্যের আলো।
প্রতিক্ষার দূরদিগন্তের উপকুলে দাড়িঁয়ে  যার দুহাতের বক্ষ বন্ধনে হারিয়ে যাওয়া এক দুর্গের দেবি প্রতিক্ষা —
সে ফিরে আসবে সময়ের দ্বারে।
তারই জন্য একটি সৌন্দর্যময় প্রতিক রেখেছি দু’হাতের অঞ্জলিতে অর্ঘ্যের মন্দিরে
আজ আমি শুধুই
ধূলো- মাটির এক কান্নার ফুল…?

হাতের মুঠোয় একটা আকাশ

তুমি করজোড়ে প্রার্থনা কর নারীর দেহে গোলাপের সৌরভ
আর চোখের আবর্তে রচনা কর কাল্পনিক প্রার্থনার ইতিহাস।
তুমি পঞ্চইন্দ্রিয়ের সীমানা অতিক্রম করে মিলিত হও রজনীর সাথে।
আর তখনই সূর্য্য উন্মুক্ত করে দেয় দিনের আলো
লালসালু কোটরে জড়িয়ে।
আমি শুনি তোমার কন্ঠস্বর
আকাশের ছায়াপথ থেকে নেমে আসা এক বৃক্ষ,
মৃত্তিকা দিয়ে গড়া সে বৃক্ষের  উপরে অধিষ্ঠিত সাধনার পোশাক
সেখানে আগুনের উত্তাপ।
অনায়াসে গেঁথে নিয়েছো হাতের মুঠোয়
একটা আকাশ।

জেগে উঠবে মহাকাশ

আমি জেগে উঠছি দুঃস্বপ্নের থেকে
শুনতে পারছি নদীর কল্লোল, মুছে যাচ্ছে
ধীরে,ধীরে  ক্ষত চিহ্ন।
ভোরের কোমল বাতাসে ছড়িয়ে দিচ্ছে সূর্য
গভীর অনুভূতি
তখনই হয়ে উঠলাম ঝরনা, অনুভূতির মোহনার দুহাতের ভেতর বন্দি।
সে জানতে পেরেছে আমার দেহই আমার
আকাশ হয়তো আড়ালে রেখেছিলাম।
আজ কেন উন্মোচিত হলাম,সময়ের পত্র
খুলে দিয়েছি বলেই প্রেমিকের দেহই কি
আমার আজানা কল্পনার সেই পথ।
সেকি বহন করতে পারবে স্রোতস্বিনী নদীর
যাবতীয় আবেগী হৃদয়, ধারণ করে নিবে কী
কষ্টের  যাবতীয় কবিতার পঙতি।
আমি আলো দিয়ে জড়িয়ে রাখবো তার
ভেতরের প্রেমকে জাগ্রত করার।
আমি অবাধ্য নই সূর্য, সাঁতার কাটবে রাত্রির
দেহে
উন্মোচন করবে পৃথিবীর পত্র আর প্রজ্ঞার
দুয়ার
সেই বাতাসে ছড়িয়ে দিবে জীবনের সৌরভ।
হে কালের সূর্য আমাদের দেহের ভেতর অন্য
এক রূপান্তরে,জেগে উঠবে মহাকাশ
তখনই তুমি লিখবে সূর্যের আগমনী ইতিহাস।

ছায়াময় কাব্যিকতা

মেঘে ঢাকা দিনগুলো শূন্যে পালে,ভেসে গ্যাছে।
আশার রাত্রি খুঁজেনি আবেগী
স্বপ্নের রৌদ্রের উষ্ণ ওম।
কেবলই আষাঢ়ের খেয়াঘাটে
প্রহর কেটেছে হয়তো একদিন
সেই ছায়াবৃত পথহারা ঝরা মল্লিকা বনে কুড়িয়ে নেবে কি
সময়ের দেয়াল ভেঙে আত্মার
আয়নার ভেতর শূন্য সেই ঝরা ফুল তুলে সাজাবে অঘ্যের থালায় অসাপ্ত পূজার  বেদি।
এও,এক জীবনের কেবলই কল্পিত বাসনা।
অস্থির বাতাসে আবেগী স্রোত
ভেসে যায়, কুরে কুরে খায় সময়।
তবু  কোন এক দিগন্তে মেঘ শূন্যতায় বন্দি হয়ে কেন খুঁজে
মহাশূন্যের মায়াবী ঘাটে আনিন্দ্য স্পর্শ…!?
তবুও মন কেঁপে উঠে সময়ের
দীঘল পথ পাড়ি দিতে দিতে,হঠাৎ  যদি ফের হারায় পথ,তবু জেগে থাকবে স্মৃতিময় ক্ষণিকের সেই
ছায়াময় সন্ধ্যার আচমকা শব্দের  ক্যাবিকতার শব্দাবলি…!

বৃন্দাবনের পাহাড়ি চূড়ায়
রোকসানা রহমান

আজও কেন চুপিচুপি বাদলা বনে আঁকো একাকী পিন্ডের অবয়ব।
শরীরসুখা-সতীঘাটে ঘাটে শ্রাবণ ঢালো।
এখনো কি লাজুক কৃষ্ণচূড়ার ডালে
একা চাঁদ নিঝুৃম রাতে বাজাও অসময়ে
তান্ডবী নৃত্যরত রাগ।
আজও কি মনের অন্তরালে জাগে ভালোবাসা, না পাবার অভিমান।
হয়েছিলো কি আমার সেদিন পড়েনা মনে,

জানিনা, তবু অজান্তে রক্তজবা ফুটে কেন আজও আমার আঙিনায়
ঝরছে কেনো আজও শ্রাবণের বৃষ্টির গান
তৃষ্ণাবৃত ছাঁয়ায়,ঐ- দুরে ফসলের মাঠ ক্লান্ত।

সমুদ্র মন্থনে নীল কন্ঠ বৈঠা হাতে,ক্ষীণ কন্ঠস্বর,শ্বাস- ফেলে
ডাকো- এসো যাবোনা একা ফিরে।
এ যেনো খরতাপে নিরব রজনীতে গভীর
শোকের সন্মোহনে ছুঁড়ে ফেলা পিন্ডের ভিতর
পূর্ণজন্মের সেই আমি – নিরব আচ্ছন্নতায় হেঁটে যাই অতীতের সেই গহীন অন্ধকারে।
গভীর উথাল – পাথাল নীল সায়রে সময়ের
তারা ঝরে যাওয়া আকাশে
বিবর্ণ ফুল – ফুটাবে কী,বিনা ক্লেশে প্রেমময় ফুল বৃন্দাবনের পাহাড়ি চূড়ায়…!?

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved