ঢাকা, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১, ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
স্মরণ সভা সফলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ:চসাস
হাটহাজারী উপজেলায় ১৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মিরসরাই ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বাংলাদেশেকে ঘিরে ভারত, আমেরিকা, চীনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের অর্ন্তনিহিত কারণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ
চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র,কার্যবিধি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা
কিশোর গ্যাং- সমাজের অবক্ষয় ও করণীয়
বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা বিক্ষোভ প্রতিবাদ
সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন:সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অদম্য একুশ ‘র আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও ঈদ পুনর্মিলনী

মোহাম্মদ ইবরাহীম খলীল এর একগুচ্ছ কবিতা

প্রার্থনা

হাত তোলেছি তোমার কাছে
করেছি শির নত,
মাফ করে দাও, ওহে প্রভু!
ভুল করেছি যত।
তোমার রহম থেকে বেশী
করিনি তো পাপ,
পারব না তো সয়তে আমি
জাহান্নামের তাপ।
ভুল করেছি তবুও তো
ফিরছি তব দ্বারে,
হচ্ছে কালো হৃদয় আমার
হাজার পাপের ভারে।
পারছি না আর চলতে আমি
পাপের বোঝা নিয়ে,
মাফ করে দাও,সকল গোনাহ
তোমার রহম দিয়ে।

উপদেশ

অন্যের দোষ না খুঁজে ভাই
নিজ দোষগুলো খোঁজ আগে,
বড়র প্রতি সম্মান অতি
ছোটর স্নেহ যেন জাগে।
করিলে কেহ দোষ,তাহাকে
করনা কভু তিরস্কার,
পারলে তাকে উপদেশ দাও
এটাই মহান পুরস্কার।
শত্রুর সাথে কঠোরতা নয়
ব্যবহারে হও নম্রতা,
পারলে তাকে ক্ষমা করে দাও
যদিও থাকে শত্রুতা।
যতই তুমি হওনা জ্ঞানী
তবুও কর না গর্ববোধ,
অহংকারের পতন হবে
এটাই তাহার প্রতিশোধ।

নামাজ

চলো মুমিন মসজিদে যাই
পড়তে হবে নামাজ,
নামাজ পড়ে গড়বো মোরা
আদর্শ এক সমাজ।
নামাজ হলো পথের দিশা
জান্নাতেরই চাবি,
বে-নামাজী পারবে না কেউ
করতে তাহার দাবী।
নামাজ হলো দ্বীনের খুঁটি
মুমিন হৃদের নূর,
নামাজ তোমার রুজি বাড়ায়
পাপ করে দেয় দূর।
চাওয়া যত তাঁর কাছে চাও
হলে গভীর রাত,
নামাজ পড়ে প্রভুর কাছে
তুলবে দু’টি হাত।

আমার গ্রাম

আমার গ্রামের শিশির ভেজা
মিষ্টি আলোর ভোর,
দু’চোখ মেলে দেখে আমি
ক্লান্তি করি দূর।
আমার গ্রামে গাছের ডালে
পাখির কোলাহল,
রবির আলোয় লতা-পাতা
করে যে ঝলমল।
আমার গ্রামের ছোট্ট নদী
ভরে গেছে জলে,
দীঘির পাড়ে হিমেল হাওয়া
বটের ছায়া তলে।
আমার গ্রামে আছে কতো
রঙ-বেরঙের পাখি,
তাদের দেখে মন ছুঁয়ে যায়
জুড়ায় আমার আঁখি।
আমার গ্রামের নায়ের মাঝি
মধূরী গান গায়
লাঙ্গল-জোয়াল কাঁধে নিয়ে
কৃষক মাঠে যায়।
আমার গ্রামের অপূর্ব রূপ
মায়া ভরা ছবি,
তাহার প্রেমে ছন্দ লিখেন
কত -শত কবি।

ধর্ষণ

আমার দেশে যাচ্ছে ডুবে
মনুষ্যত্বের নাও,
তাই তো এখন ধর্ষিতা হয়
প্রাণপ্রিয় বোন-মাও।
ধর্ষক ঘুরে বুক ফুলিয়ে
সম্মানি তাজ পরে,
ধর্ষিতা বোন আধাঁর ঘরে
লোক লজ্জায় মরে।
অন্ধ আইন দেখে না এ সব
ঘুষ পেলে হয় চোপ,
মানুষরূপী জানোয়ারগুলো
উন্মাদ করে খুব।
আইন-আদালত,মন্ত্রী-নেতা
সবাই ঘোষের দাস,
গরীব বাবা বিচারের দায়ে
করছে দুঃখের চাষ।
ধনী,গরীবের পৃথক বিচার
এই বুঝি মোর দেশ!
ঘোষখোরদের মনুষ্যত্ব
হয়ে গেছে নিঃশেষ।

হে ওলামা

হে ওলামা, তোমরা হলে
সত্য- সঠিক পথ দিশারি,
তোমরা যদি পৃথক থাকো
আমজনতা করবে কী!
তোমরা হলে এই জগতে
ইলমে ওহীর বার্তাবাহক,
তোমরা যদি হাল ছেড়ে দাও
কে হবে এই পথের চালক!
তোমরা হলে রাসূলগনের
খুব নিকটের প্রিয় আহাল,
তোমরা কেন পৃথক রবে
হিংসা-ক্রুদ্ধ রাখবে বহাল!
তোমরা হলে আঁধার ভবে
দিগ্বিজয়ী আলোর মশাল,
তোমার আলোয় আঁধার কেটে
দীপ্ত হবে জগত বিশাল।
তোমরা হলে জাহেল ধরায়
সত্য-সঠিক জ্ঞানের আলো,
ইলমে ওহীর দীপ্ত আভায়
দূর হবে সব আঁধার কালো।
তোমরা হলে বাতিল তরে
ক্রুদ্ধ মাখা তেজী কৃপাণ,
তোমার ডাকে আঁধার হৃদে
ওঠবে জেগে খাঁটি ঈমান।
এক হয়ে আজ তোমরা সবে
হকের পথে এগিয়ে চলো,
হোক না নারাজ শত্রুসেনা
তবুও তুমি সত্য বলো।
ঐক্যবদ্ধ থাকো যদি
তোমরা সবে বিভেদ ভুলে,
জ্বলবে আবার দীপ্ত আলো
শান্তি ফিরে আসবে তবে।

জুব্বা ওয়ালা

জুব্বা ওয়ালা দেখলে বলো
দশ বাড়িতে খায়!
নিজ বাড়িতে ভাত পায় না
বড় অসহায়!
জুব্বা ওয়ালা দেখলে তোমার
আগুন ধরে গায়!
তারা নাকি দ্বারে দ্বারে
ভিক্ষা করে খায়!
কান খুলিয়া শুনো তুমি
জেনে রেখো ভাই!
জুব্বা ওয়ালার মতো দামী
এই ভূবনে নাই।
জুব্বা ওয়ালা যদি সবাই
দেশ ছাড়িয়া যায়,
মৃত্যুর পর তোর জানাজার
হবে কি উপায়?
কুকুর-বিড়াল হিংস্র প্রাণী
মরলে পঁচে যেমন,
জুব্বা ওয়ালা না থাকিলে
তোদেরও হবে তেমন!

সুখের সাথী

জীবন পথে যদি বাধা আসে
আসুক যতো,
বুক ফুলিয়ে দাঁড়াস
কভু করিস না শির নত।
দুঃসময়ে সুখের সাথী
যদি রে হয় পর,
ধৈর্য ধরিস, সাহস রাখিস
যতই আসুক ঝড়।
নিশি যতই হোকনা গভীর
ভয় আছে কি তাতে?
দিনেশ তো সে উদয় হবে
তিমির কেটে প্রাতে।
বজ্রপাতের বিকট রবেও
করিস না তুই ভয়,
তুফান শেষে সুখের আলো
ফুটবে তো নিশ্চয়।

সালাত

রোজ প্রভাতে মিনার থেকে
মুয়াজ্জিনে হাঁকে,
আমি তখন ঘুমের ঘরে
আম্মু এসে ডাকে।
ওঠো খোকা, অযু করো
মসজিদেতে যাও,
রবের পায়ে সিজদা করে
তাঁহার রহম নাও।
সালাত তোমার দেহ-মনে
শান্তি বয়ে আনে,
আর দেরী নয়, ছুটে চলো
মসজিদেরই পানে।
মায়ের এমন মধুর কথায়
নিদ্রা হতে জাগি,
মসজিদ পানে ছুটে চলি
সালাত পড়ার লাগি।
সালাত পড়ে এই হৃদয়ে
প্রশান্তি মোর জাগে,
এমন শান্তি এই জীবনে
পাইনি কভু আগে।

ফিরে এসো রবের দিকে

আত্মভোলা মন রে আমার
করবে গুনাহ কত!
রবের দিকে ফিরে এসে
সিজদাতে হও নত।
ডাক আসিলে যেতে হবে
মায়ার বাঁধন ছাড়ি,
ভোগ-বিলাসের এই দুনিয়া
দিতে হবে পারি।
সাথী ছাড়া, বাতি ছাড়া
থাকবে আঁধার ঘরে,
সাড়ে তিন হাত মাটির ঘরে
থাকবে একাই পড়ে।
তাই বলছি, গুনাহ ছেড়ে
প্রভুকে নাও খুঁজি,
থাকতে সময় বানিয়ে নাও
আখেরাতের পুঁজি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved