নির্বাচন কমিশন থেকে দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলগুলো নিবন্ধন কৃত। এ যেন অন্ধের কাছে হীরা বিকির সমান। জাতীয় পর্যায়ের সবগুলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন নির্বাচন কমিশন দিয়েছে। যা কখনও মেনে নেয়া যায়না।
বিশেষ করে বাংলাদেশ একটি গনতন্ত্র মুখী দেশ। এখানে বেশিরভাগ সময় রাজনৈতিক দল বা রাজনৈতিক জোট গুলো দেশ পরিচালনা করে থাকে। দেশের আপামর জনগণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা নেত্রী কর্মী, সমর্থক ও ভোটার।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের মতো বাংলাদেশে,বিভিন্ন নামের ও পদের অসংখ্য কমিশন রয়েছে। যেমন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবসম্পদ উন্নয়ন কমিশনসহ ইত্যাদি কমিশন আছে। সে হিসাবে একেকটি কমিশন,একেক রকম কাজ করে থাকে। এখানে নির্বাচন কমিশন জাতীয় এবং স্থানীয় নির্বাচন এবং নাগরিক ভোটার করার কাজটি করে থাকে।
এরকম একটি প্রতিষ্ঠান যদি জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দেয়া, রাজনৈতিক দলগুলাকে নিবন্ধন দেয়ার ক্ষমতা রাখে। আমি মনে করি, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলার ইজ্জত বলতে আর কিছুই থাকে না। দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, আজ পযর্ন্ত কোন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কোন সুশীল সমাজ এই ধরনের বিষয় নিয়ে কেউ কোন আপত্তি উঠায়নি।
আমি মনে করি, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন ও মার্কা নিয়ে যেসকল রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন করে এবং জনগণের কাছে ভোট চায়। এখানে সেই সকল রাজনৈতিক দল গুলোর খুব একটা কদর আছে কিনা আমার জানা নেই।
আমি মনে করি, দেশের সকল রাজনৈতিক দলের অনুমতি নেয়া উচিত। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে। তার কারণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বাংলাদেশের সর্বাধিক সম্মানিত একটি প্রতিষ্ঠান। মাননীয় প্রধান বিচারপতি স্বাক্ষরিত অনুমোদিত হলে রাজনৈতিক দলগুলার কদর আরো বেড়ে যাবে সমাজে। যুগে যুগে বাংলাদেশে নির্বাচন কমিশন নিয়ে যেভাবে বিতর্ক করা হয়েছে। এখানে নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশে গ্রহণযোগ্য কোন কমিশন নয়। জানিনা বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতাদের মেধা কতটুকু আছে। প্রশ্ন হলো কেন তারা নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়ার অধিকার দিয়েছে।
দ্বিতীয় ধাপ হলো, সংসদ ভবন। সংসদ চলমান অবস্থায় যেকোনো রাজনৈতিক দল অনুমতি পাওয়ার জন্য আবেদন, মাননীয় স্পিকার বরারব করবে। মাননীয় স্পিকার তখন সংসদ সদস্যদের মাঝে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে প্রস্তাবিত রাজনৈতিক দলের গঠনতন্ত্রসহ দলের নাম প্রস্তাব করা হবে। সেই প্রস্তাবের পক্ষে – বিপক্ষে আলোচনা সাপেক্ষে অনুমতি হতে পারে। এছাড়া আর্মি কোর্ট থেকেও রাজনৈতিক দলের অনুমতি নেয়া যেতে পারে।
উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলোর, যেকোন একটি থেকে রাজনৈতিক দলের অনুমতি নিলে বা দিলে দলগুলার কাঠামো আরো সুন্দর আরো মজবুত হবে বলে আমি মনে করি।