ঢাকা, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল, ২০২৫, ২৮ চৈত্র, ১৪৩১, ১২ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
স্মরণ সভা সফলে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ:চসাস
হাটহাজারী উপজেলায় ১৩ টি কেন্দ্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা-২০২৫ অনুষ্ঠিত
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের মাঝে মিরসরাই ছাত্রদলের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
বাংলাদেশেকে ঘিরে ভারত, আমেরিকা, চীনের ত্রিমুখী দ্বন্দ্বের অর্ন্তনিহিত কারণ ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ
চট্টগ্রাম ফাউন্ডেশনের গঠনতন্ত্র,কার্যবিধি প্রণয়ন সংক্রান্ত সভা
কিশোর গ্যাং- সমাজের অবক্ষয় ও করণীয়
বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা বিক্ষোভ প্রতিবাদ
সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন:সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অদম্য একুশ ‘র আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও ঈদ পুনর্মিলনী

কয়রায় দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করলো ছাত্র জনতা, সেতু নির্মাণের বাঁধা রইলো না

খুলনার কয়রা উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের শাকবাড়িয়া খালের দু’ পাড়ের দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা ছাত্র-জনতার যৌথ প্রচেষ্ঠায় উচ্ছেদ হয়েছে। যার ফলে খালের উপর সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে আর বাঁধা রইলো না।

দীর্ঘদিন অবৈধ স্থাপনা সরাতে না পারায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এসএ-জেডটি জেভি’ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ করে চলে যায়। প্রায় ২ বছর ধরে জায়গা দখলমুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় তারা এই সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে প্রশাসনের সহযোগিতায় শাকবাড়িয়া খালের দক্ষিণ পাশ দখলমুক্ত হলেও উত্তর পাশে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা সরানো সম্ভব হয়নি। অবশেষে গতকাল ছাত্র-জনতার যৌথ প্রচেষ্ঠায় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে উত্তর পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।

জানা গেছে, কয়রা সদর হতে মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের গিলাবাড়ি জিসি সড়কটি মহারাজপুর ইউনিয়নের বড়ব্রিজ নামে পরিচিত। শাকবাড়িয়া খালের উপর এই সেতুটি এলাকাবাসীর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে সেতুটি ভেঙে যায়। যার ফলে কয়রা সদর হতে মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়নের জনসাধারণের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন এবং যানবাহন চলা-চল বন্ধ হয়ে যায়। ব্রিজটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ২০২২ সালের ৩ আগস্ট স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে ৩৬ মিটার আরসিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজের জন্য ‘এসএ-জেডটি জেভি’ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয়। কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে। কিন্তু শাকবাড়িয়া খালের দু’পাড়ে দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় কাজ শুরু করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফ্যাসিস্টদের দোসররা সেখানে দোকানপাট ও পাকা স্থাপনা গড়ে তুলে দখলে রেখেছিল। যার কারণে সেতুর নির্মাণ কাজ করা সম্ভব হয়নি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও কোনো সমাধান হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ বন্ধ রেখে চলে যায়।

এ ব্যাপারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়রার ছাত্র প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী বলেন, শাকবাড়িয়া খালের উপর সেতুটি নির্মিত না হওয়ায় মহারাজপুর, মহেশ্বরীপুর ও বাগালী ইউনিয়নের জনসাধারণ দীর্ঘদিন চরম ভোগান্তিতে রয়েছে। অবৈধ স্থাপনার কারণে কোথাও উন্নয়ন মুলক কাজে বাঁধা সৃষ্টি হলে জনগণকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখা হবে।

কয়রা উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ দারুল হুদা জানান, এতদিন শাকবাড়িয়া খালের দু’ পারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন উচ্ছেদ হয়েছে সে জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস বলেন, এতদিন ব্রিজের দু’পারের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়ায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। এখন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হয়েছে সে জন্য এলজিইডিকে দ্রুত সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে।

মোক্তার হোসেন।
খুলনা।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved