ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরের পূর্বাঞ্চলের কৃতিসন্তান, স্পাইডার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ রিপন মিয়া সামাজিক ও মানবিক কাজে বিশেষ অবদান রাখায় নবীনগর প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এসময় প্রেসক্লাবের সভাপতি শ্যামা প্রসাদ চক্রবর্তী শ্যামলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম সোরাফ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী।
সংবর্ধিত ব্যক্তি মোঃ রিপন মিয়া তার বক্তব্যে বলেন,”আমি একজন ক্ষুদ্র মানুষ, সাধারণ গরিব পরিবারের সন্তান, নিজের পরিশ্রম ও সততা দিয়ে আজকের এই অবস্থানে এসে দাঁড়িয়েছি। আমি নিরবে নির্ভৃতে মানুষের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই, সামাজিক উন্নয়নে সমাজে অবহেলিত সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকতে চাই, আমি কোন রাজনৈতিক দল করি না আমি কোন রাজনৈতিক দলের মতাদর্শ নই। আমাকে যে আপনারা এভাবে সংবর্ধনা দিবেন তা আমি বুঝিনি, আমাকে সভাপতি ও সেক্রেটারি চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কিন্তু এসে দেখলাম বিশাল আয়োজন। ভালোই হয়েছে, এতগুলো সাংবাদিককে একসাথে পেয়েছি।
আমার সম্পর্কে সমাজে একটি নেগেটিভ ধারণা আছে, আমার বিরোধীপক্ষ একটি স্বার্থন্বেষী মহল নানাহ প্রপাকান্ডা ছড়িয়েছে এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে লিখিত অভিযোগও দিয়েছে। যমুনা টেলিভিশন বলেন বা অন্যান্য মিডিয়া বলেন আমার বিরুদ্ধে যে রিপোর্ট হয়েছে তাতে আমার কিছু যায় আসে না,আমি কিছু মনে করিনি। আমি অতীতেও বলেছি, এখনও বলছি,আপনাদের সামনে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, “যদি কেউ প্রমাণ করতে পারেন আমি কারোর এক বিঘা জমি দখল করেছি তাকে আমি দুই বিঘা জমি দিব।
তিনি আরো বলেন, আমার বিরুদ্ধে এত এত অভিযোগ, জানিনা কি অন্যায় আমি করেছি, আমি খুঁজে পাচ্ছি না আমার কোন জায়গায় ভুল। আপনাদের কাছে অনুরোধ প্রচারিত আমার নেগেটিভ বিষয়গুলোর ভিতরে আপনারা ঢুকুন, খুঁজে বের করুন, আমার কোথায় অন্যায় হয়েছে, আমার কোথায় ভুল হয়েছে? আপনাদের মাধ্যমে যদি আমার ভুলত্রুটি শুধরাতে পারি, পরকালে শান্তি পাবো, দুনিয়াদারি কোথায় আমি চিন্তা করি না। আপনারা আছেন, এখানে ইউএনও ও ওসি মহোদয় আছেন, আপনাদের দৃষ্টিতে যদি আমার কোন অন্যায় ত্রুটি ধরা পড়ে আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবেন কোন সমস্যা নেই কিন্তু আমি শুধরিয়ে গেলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নবীনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ আবদুর রাজ্জাক, মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শুক্লা রানী ভট্টাচার্য,প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবু কামাল খন্দকার, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সহ সাধারণ সম্পাদক কেএম মামুনুর অর রশিদ, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ফারুক আহমেদ,মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদ্য বিদায়ী সভাপতি মোর্শেদুল ইসলাম লিটন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি সভাপতি রেজাউল করিম সবুজ,প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য জাহিদুল হক খোকা, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মাহাবুব আলম লিটন, সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন মনির,সিনিয়র সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিনহাজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কান্তি কুমার ভট্টাচার্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।