ঢাকা, মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৫, ২৫ চৈত্র, ১৪৩১, ৯ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
বিশ্ব সন্ত্রাসী ইসরাইল’র নৃশংসতা গণহত্যা :দেশবিশ্বে তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ
সন্দ্বীপের সীমানা নির্ধারণের দাবিতে মানববন্ধন:সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘অদম্য একুশ ‘র আনুষ্ঠানিক যাত্রা ও ঈদ পুনর্মিলনী
সন্দ্বীপে নবীন আলেমদের সংবর্ধনা:ইসলামী যুব আন্দোলন
এনসিপির উদ্যোগে ‘কেমন সন্দ্বীপ চাই’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা
বিএনপি চেয়ারপারসন’র উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীর চন্দ্রনাথ মন্দির পরিদর্শন
বিএনপির গ্রুপ সংঘর্ষে: আহত যুবদল নেতা জিহাদের মৃত্যু
লোহাগাড়ায় দুর্ঘটনায় আহতদের পরিদর্শনে:উপদেষ্টা ফারুক ই আজম-মেয়র শাহাদাত
সন্দ্বীপ ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্ট’স ফোরাম’র ঈদ পুনর্মিলন

কোথাও নেই সুখবর: জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষিতে একটি রাজনৈতিক বিশ্লেষণ

আজ অফিসে ঢুকে একটি দৈনিক পত্রিকার শিরোনামে চোখ বুলাতেই মনটা খারাপ হয়ে গেলো। প্রধান শিরোনামে বড় বড় লাল অক্ষরে লিখা “কোথাও নেই সুখবর”। অতঃপর পত্রিকাটি হাতে নিয়ে কিছুটা পড়লাম। তাত্ত্বিক আলোচনার সাথে বাস্তবতা মিলিয়েও দেখলাম। অনেকটা মিলে যায়। সত্যিই কোথাও সুখবর নেই!

পত্রিকাটির আলোচনায় হয়তো সব বিষয় আসেনি। তবে, মৌলিক অনেকগুলো বিষয় এসেছে। যেমন :
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, বিভিন্ন দল/উপদলের বহুমুখী দাবী দাওয়া,বিনিয়োগ বন্ধ, কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই, আশঙ্কাজনক হারে বেকারত্ব বৃদ্ধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিষ্ক্রিয় ভূমিকা, আমলাদের অসহযোগিতা, মাদকদ্রব্যের অবৈধ অনুপ্রবেশ
এবং আরো অসংখ্য বিষয় যা প্রতিদিন জনজীবনে প্রভাব ফেলছে এবং শঙ্কা তৈরি করছে। সে সাথে যুক্ত হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র “ভারত” কর্তৃক অব্যাহত উস্কানি। আগে এরূপ উস্কানি ছিল বক্তৃতা-বিবৃতিতে সীমাবদ্ধ। এখন চলছে সীমান্তে সরাসরি আক্রমনাত্মক এবং উস্কানিমূলক পদক্ষেপ। এসব সত্যিই সাধারণ মানুষের জীবনে গভীরভাবে রেখাপাত করছে।
সমন্বয়কদের মাঝে সমন্বয়হীনতা:
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের ভূমিকা ছিল অনবদ্য এবং অপ্রতিরোধ্য। এ বিষয়ে কারো দ্বিমত বা সন্দেহ থাকার কথা নয়। তবে,গত দু’দিন আগে চট্টগ্রামে সমন্বয়কদের সভায় পরস্পর বিরোধী গ্রুপের মাঝে মারামারি হয়‌। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। নিঃসন্দেহে বিষয়টি খুবই উদ্যোগের। তবে, বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে তেমন আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। কারণ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এবং সমন্বয়ক হিসেবে যারা কাজ করেছে, তারা তখন ছিল সবাই ছাত্র। রাজনৈতিক আবরণ ছিল না। এ কথা সত্য যে, এখনো তারা ছাত্র। তবে, প্রত্যেকে কোন না কোনভাবে বড় রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের সদস্য। আর নির্দলীয়রা নতুন দল গঠনের চেষ্টা করছে। সংস্কার, নির্বাচন, দলীয় আদর্শ, নৈতিক আদর্শ এবং ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে বড় সংগঠনগুলোর মাঝে যখন মতবিরোধ দেখা দিয়েছে, সঙ্গত কারণেই ছাত্র সংগঠনগুলোতে এবং ছাত্রদের মাঝেও এর প্রভাব পড়ছে/পড়বেই। সুতরাং ছাত্র আন্দোলনকারীদের এবং সমন্বয়কদের আর বেশিদিন একসাথে থাকার সুযোগ হয়তো থাকবে না। ১৯৬৯ (ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ), ১৯৭১ (মুক্তিবাহিনী/গণবাহিনী) ১৯৯০ (সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ) এবং পূর্ববর্তী-
পরবর্তী অন্যান্য সময়ে যৌথভাবে অনেক আন্দোলন হলেও পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রশ্নে এ সকল আন্দোলন বেশিদিন ঐক্যমতের ভিত্তিতে থাকেনি বা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। অল্প দিনের মধ্যেই মতবিরোধ দেখা দিয়েছে একটা তারা বিলীন কিংবা হয়ে গেছে। অতীত অভিজ্ঞতা এবং বাঙালি চরিত্রের সাথে মিল রেখে ধারণা করা হচ্ছে, হয়তো কিছুদিনের মধ্যেই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন অথবা সমন্বয়ক বলতে আর কারো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থা ও অবস্থান :
একদিকে অন্তবর্তীকালীন সরকার গত ০৫ মাসে আলোচ্য বিষয়াবলীর সমস্যা সমাধানে তেমন কোন ভূমিকা পালন করতে পারেনি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য পাগলপ্রায় হয়ে নির্বাচনের কথা বলছে। অন্য সমস্যাগুলো কি হবে, সে বিষয়ে তাদের তেমন কোন ভাবনা নেই। ধারণা করা হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতা এবং অব্যাহত চাপে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হয়তো সংস্কারের সব কাজ করার সুযোগ পাবে না। অনেকের আশঙ্কা, হয়তো তারা বাধ্য হয়েই যেনতেনো ধরনের একটি নির্বাচনের আয়োজন করে নিজেরা মুক্তি চাইবেন। প্রকৃতই যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে “কোথাও নেই সুখবর” আশঙ্কাটি অচিরেই সত্য বলে প্রমাণিত হবে।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved