সীতাকুণ্ডে আবারো ধরা পড়লো অবৈধ ২৮০ বস্তা মিউরেট অব পটাশ সার বোঝাই একটি ট্রাক। ২ জনকে আটক করেছে সীতাকুণ্ড মডেল থানা পুলিশ
চট্টগ্রামে সরকারি সারের গুদাম থেকে অবৈধভাবে প্রতিনিয়ত পাচার হচ্ছে ফসফেট, মিউরেট অব পটাশ সার । কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চট্টগ্রাম থেকে অবৈধভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ট্রাক ভর্তি অবৈধ সার।নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি পরিবহন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ।অবৈধ সারের সাথে জড়িত রয়েছে বড় সিন্ডিকেটের চক্র।
১৫ জানুয়ারি বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকটি নওগাঁর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। তবে যাওয়া হয়নি নওগাঁতে, চট্টগ্রাম সারের গুদাম থেকে ট্রাকটি ছয়টার দিকে রওনা দিলে ও সীতাকুণ্ড ক্রস করতে সময় লেগে যায় ৫-৬ ঘন্টা। চট্টগ্রাম থেকে ৬ টার দিকে রওনা দেওয়া ট্রাক সীতাকুণ্ড আসার আগ মুহূর্তে মাঝপথে বিভিন্ন স্থানে পার্কিং করে দাঁড়িয়ে যায়। একেকটা গাড়ি রাত দশটা পেরোলেই গন্তব্য স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত ১০টা বাজার আগেই মাঝপথ থেকে, কোন গাড়ি না ছাড়ার নির্দেশ দেয় ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি পরিবহন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ। চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসলেও চোরাচালান নিয়ে মাঝপথে থেমে গেল ট্রাকের চাকা।
গত বুধবার রাত ১২ টা নাগাদ ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড থানাধীন বড় দারোগারহাট এলাকায় ২৮০ বস্তা মিউরেট অব পটাশ সার বোঝাই একটি ট্রাক পুলিশ আটক করে । ট্রাকটি চট্টগ্রাম থেকে সার নিয়ে নওগাঁর পথে যাচ্ছিল। ট্রাকে মোট ২ জন মানুষ ছিলেন। তারা সারের বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ সারসহ ট্রাকটি আটক করে। এবং সার পাচারে জড়িত ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে উক্ত ২ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।
ট্রাক ড্রাইভারকে, জিজ্ঞেস করলে ট্রাক ড্রাইভার বলে সারগুলো
নওগাঁয় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ড্রাইভারকে বৈধ কাগজপত্র দেখাতে বললে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও তারা এ বিষয়ে বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। শেষে সীতাকুণ্ড থানার এসআই ইদ্রিস বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জব্দকৃত ট্রাক ড্রাইভার আকাশ বলেন, আমার গাড়ী ব্যবহার করে তারা ফায়দা লোটার চেষ্টা করেছে। সার গুলো যে অবৈধ ছিল সেই বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এইসব কিছু জানেন ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি পরিবহন ঠিকাদার কর্তৃপক্ষ।
২০২৫ সালের শুরু থেকে পাচার হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। অবৈধভাবে বাণিজ্য করছেন নানা রকমের ফসফেট সার মিউরেট অব পটাশ আরো হরেক রকমের সার। দৈনিক পাচার হচ্ছে আনুমানিক তিনশ টনের ও বেশি সার । কৃষকদের জন্য সরকারিভাবে সার বরাদ্দ করলে ও নিয়ম অনুযায়ী পাচ্ছেন না কৃষক। তবে অর্থ বাণিজ্য করছেন কিছু অসাধু কর্মকর্তা। চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের বড় দারোগার হাট এলাকায় মহাসড়কে অবৈধ মিউরেট অব পটাশ সারের ১টি ট্রাক, পুলিশ আটক করেছেন,যার নাম্বার (ঢাকা মেট্রো- ট ১৬-৪৯৪৩)
এস আই ইদ্রিস জানান এ ঘটনায় দুইজন’কে গ্রেফতার করা হয়।পরে তাদেরকে কোর্টে চালান করা হয়।এছাড়া সার ও গাড়ি সীতাকুণ্ড থানার হেফাজতে আছে বলে জানান তিনি।
ওসি মোহাম্মদ মজিবুর রহমান বলেন, সারগুলো যে বৈধ সে নথিপত্র চাইলে তারা দেখাতে পারেনি। এসব সার তারা কোথা থেকে পেল তারও সদুত্তর দিতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে অবৈধভাবে সারগুলো চট্টগ্রামের টিএসপি সার কারখানা থেক।