সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের দবিরগঞ্জ গ্রামে ঘরে ঝুলছিল মনিরুল ইসলাম (২০) নামের এক তরুণের হাত-পা বাঁধা লাশ। খবর পেয়ে সলঙ্গা থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করেন।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়ে দেন।
মৃত মনিরুল ইসলাম (২০) তাড়াশ উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের ফুলজার হোসেনের ছোট ছেলে। সে ছোট বেলা থেকেই দবিরগঞ্জ গ্রামে (মৃত মতু মন্ডল) নানার বাড়ীতে থাকতেন।
মৃত মনিরুল এর ছোট মামী শিল্পী খাতুন বলেন, সকালে আমি আমার ভাসুর মোন্নাফ এর বাড়ীতে গেলে রান্না ঘরের ভিতরে মনিরুল এর মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তখন চিৎকার শুরু করি, আমার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে এবং সলঙ্গা থানার পুলিশকে খবর দেয়।
সলঙ্গা থানার তদন্ত অফিসার মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, মৃত মনিরুল এর মামা মোন্নাফ এর বাড়ীর রান্না ঘরের ভিতর, ঘরের চালের টিহি (টুই/টুয়া) এর সাথে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলন্ত ছিলো মনিরুলের মরদেহ। তবে তার হাত-পা বাঁধা এবং গলায় শ্বাসরোধ করা ছিলো। পাশের ডাবে (ধর্নায়) ছিলো মোবাইল বাঁধা।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তার মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।