নওগাঁর নিয়মতপুরে বেগম (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে রাতের অন্ধকারে বাড়িতে ঢুকে কে বা কাহারা মারাত্মকভাবে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
১৪ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট থেকে রাত ৯টার মধ্যে উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মৃত বেগম জয়পুর গ্রামের মোকসেদ আলীর স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঘটনায় নিহত বেগমের ছেলে ইমরান আলী (৩২) জানান, আমি সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে এশার নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাই। আমার বাবা অসুস্থ্য। তিনি বিছানায়। রাত ৯টার দিকে বাড়ি এসে দেখি আমার মা নাই। বাবাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, বাথরুমে গেছেন অনেকক্ষন হলো কিন্তু এখনো আসে নাই।
সাথে সাথে আমি বাথরুমের দিকে গেলে দেখি আঙ্গিনায় মা অচেতন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কপালে আঘাতের চিহ্ন। আমি সাথে সাথে প্রতিবেশীদের ডেকে মাকে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়দের ধারণা, নিহত বেগমের ছেলে ইমরানের সাথে তা স্ত্রীর দ্বন্ধের এক পর্যায়ে তাদের তালাক হয়ে যায়। ইমরানের স্ত্রীর বাবার পরিবার ইমরানের মা বেগকে দোষারোপ করতো। হয়তো ইমরানের শশুড়বাড়ীর লোকজনই এক ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।
এ রির্পোট লিখা পর্যন্ত থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এ বিষয়ে নিয়ামতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন, নিহতের ছেলে ইমরান বাদী হয়ে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নিহত বেগম রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ময়না তদন্তের পরে দাফনের সিদ্ধান্ত হবে।