চট্টগ্রাম নগরী খুলশীতে ভালো কাজের প্রতিযোগিতা করতে যেয়ে ক্ষমতা দাপট আধিপত্য বিস্তারের জেরে গভীর রাতে খুলশীর ওয়ারলেস তালতলা বস্তিতে বিএনপি’র ২ গ্রুপের সংঘর্ষে (বিচ্ছিন্নবাদী গ্রুপ) উভয় পক্ষের আহত হয়েছে ৩ জনের মতো। প্রশাসনের দুইটি টিমের সক্রিয় তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় সঙ্গে সঙ্গেই।
১১ এপ্রিল দিনগত রাতে ওয়ারলেস ৪ নং রোডের তালতলা বস্তিতে রাত আনুমানিক ২ টায় বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে ২ দফায় সংঘর্ষ হয়। এক ঘন্টা যাবৎ থেমে থেমে গুলির আওয়াজে এলাকায় বসবাসকারী লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। ২ গ্রুপের ভেতরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলশী থানা যুবদল নেতা মোঃ হেলাল হোসেনের অনুসারীদের সাথে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল হোসেন বগার অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। যদিও তাৎক্ষণিকভাবে কোন পক্ষের কারও সাথেই যোগাযোগ করা যায়নি৷
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এই সময় কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়াছুড়ি হয়। এই ঘটনায় হেলাল গ্রুপের একজন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। অন্তত দুই দফা উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ চলেছে ৷
এই ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। পতক্ষ্যদর্শী ও এলকাবাসী সূত্রে আরও জানা যায়, স্থানীয় রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুর সহ কিছু ঘরবাড়ি ও রকি হোসেন পিচ্চি নামের এক ছাত্রদল নেতার একটি অফিস ভাংচুর হয়েছে।
কেউ কেউ বলছে, এমন অহেতুকতুচ্ছবিচ্ছিন্ন ঘটনাটা কে কেন্দ্র করে গোলাগুলি পেছনে থাকতে পারে পূর্বশত্রুতা। প্রতিহিংসার জেরে গ্রুপিং সংঘর্ষে ঘন্টাব্যাপী থেমে থেমে গোলাগুলি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এলাকাজুড়ে ভয় আতংক নিরাপত্তাহীনতায় এলাকা বাসী ও জনসাধারণ।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে, খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ আফতাব হোসেন বলেন, ওইখানে আমাদের টিম ছিল দুইটা ঘটনাস্থল সঙ্গে সঙ্গেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশ যাওয়ার আগেই কিল ঘুষি হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। দুই পক্ষের একাধিক আহত হয়েছে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে। সংঘর্ষের ফলে স্থানীয় দলীয় রাজনৈতিক অফিস কিছুটা ভাঙচুর করেছে। মূলত বিষয় ছিল ওখানে একটা ময়লার স্তুপ /ভাগার ছিল। ময়লা পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র করেই এক অপরের সাথে সংঘর্ষ ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এক পক্ষে কাজ করতে যেয়ে ওই পক্ষের সুনাম প্রতিহিংসার জেরে অন্যপক্ষ বাধা দিলে। এতে উভয়েই একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব সংঘর্ষ ও হাতাহাতিতে জরায়। ভালো কাজ জন্ম দিতে গিয়ে খারাপ কাজের জন্ম দিয়েছে। ওদেরকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এখনো আসেনি কেউ কোন অভিযোগও করেনি।আইনগত অবস্থা প্রক্রিয়াধীন।