ঢাকা, বুধবার, ৭ মে, ২০২৫, ২৪ বৈশাখ, ১৪৩২, ৮ জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
সীতাকুণ্ড সমিতি ইউকে’র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
চবি ক্যারিয়ার ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা ও ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত
নবম শ্রেণির ছাত্রকে নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
সন্দ্বীপের ফিরোজ আহমদ ব্রুকলিন কমিউনিটির বোর্ড মেম্বার নির্বাচিত
সীতাকুণ্ডে কারখানার অবৈধ গাড়ি পার্কিং বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
মেয়র শাহাদাতের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ দ্য অ‍্যাফেয়ার্সের সৌজন্য সাক্ষাৎ
ইসলামের প্রচার- প্রসারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার অবদান
হজ্ব যাত্রীদের মাঝে ঔষধ বিতরণ : মেয়র শাহাদাত
কোটি টাকার মুক্তিপণ দিয়েও জীবন ঝুঁকিতে l ব্যবসায়ী পালন প্রতারক সিন্ডিকেটের ফাঁদে
প্রসঙ্গ: করিডোর

ইসলামের প্রচার- প্রসারে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার অবদান

( একজন মুসলমান হিসেবে- আমি হক্কানী আলেম ওলেমাদের শ্রদ্ধা করি,ভালোবাসি।এই লেখাটি আলেম -ওলেমা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জ্ঞাতার্থে পোস্ট করলাম।আমি ঠিক জানিনা বাংলাদেশে আর কোনো রাষ্ট্র প্রধান বা সরকার প্রধান ইসলামের জন্য এতোটা কাজ করেছেন কিনা? যারা সত্যটা জানেন তারা মোনাফেক এর মত আচরণ করেন না,সত্য স্বীকার করাটাই ইসলামের সৌন্দর্য,আলেম ওলেমাগণ দৃশ্যমান সত্যকে অস্বীকার করে মিথ্যাচার করলে সাধারণ মানুষের আলেমদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ নষ্ট হয়ে যায়।একজন মুসলমান হিসাবে আমি হক্কানী আলেমদের শ্রদ্ধা করি।কেননা – জন্মের পর একজন আলেম এর মাধ্যমে আমার নাম রাখা হয়েছে,জানাজাও পড়বেন আলেম।তাই আমার অনুরোধ আলেম সমাজ এমন কিছু করা উচিত নয়,যাতে ইসলামের সৌন্দর্য নষ্ট হয়,যাতে কেউ যেনো বলতে না পারে আলেম ওলেমাগণ মিথ্যাচার করেন।সত্যবাদী এবং হক্কানী আলেমদের সকল ধর্ম বর্ণের মানুষ পছন্দ করে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন।)

মহান আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া বঙ্গবন্ধুর মতো একজন অসাধারণ নেতা আমরা পেয়েছি। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ নামক একটি নতুন দেশের নতুন মানচিত্রের অমর রূপকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন ইসলাম ধর্মের অনুসারী সহজ-সরল উদার মানবিক চেতনার অধিকারী একজন খাঁটি মুসলমান। তার পূর্বপুরুষ শেখ আউয়াল ইসলাম প্রচারের উদ্দেশে হজরত বায়েজিদ বোস্তামী (রা.) এর শিষ্যত্ব গ্রহণ করে তার সঙ্গে ভারতীয় উপমহাদেশে আসেন প্রথম। পরে তারই উত্তর পুরুষরা বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় বসতি স্থাপন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হচ্ছেন ইসলাম ধর্ম প্রচারক শেখ আউয়ালের সপ্তম বংশধর। বঙ্গবন্ধুর পিতা শেখ লুৎফর রহমান ছিলেন একজন সুফি চরিত্রের অধিকারী ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ইসলামের প্রচার এবং প্রসারের অন্যতম একজন ধারক।

বঙ্গবন্ধু কখনো ইসলামকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেননি। তিনি ১৯৭০ সালে সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বেতার ভাষণে বলেছেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করা হচ্ছে আমরা ইসলামে বিশ্বাসী নই, এ কথার জবাবে আমাদের সুস্পষ্ট বক্তব্য আমরা লেবাস সর্বস্ব ইসলামে বিশ্বাসী নই। আমরা বিশ্বাসী ইনসাফের ইসলামের অনুসারী।’

মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশকে সব ধর্মের সব মানুষের জন্য শান্তির দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তিনি ছিলেন সদা সচেষ্ট ন্যায়বান রাষ্ট্রপ্রধান। তিনি তার সংক্ষিপ্ত শাসনামলে ইসলামের প্রচার ও প্রসারে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তা মুসলিম বিশ্বে বিরল।
একইভাবে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ইসলাম এর প্রচার প্রসারে অবদান রেখেছেন।
এর একটি চিত্র নিম্নে উপস্থাপন করা হলো:

ইসলাম ধর্ম প্রচার-প্রসারে বঙ্গবন্ধুর অবদানসমূহ:
১. ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা : স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু বাংলাদশে ইসলাম প্রচার, প্রসার এবং গবেষণার জন্য সরকারিভাবে ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ প্রতিষ্ঠিত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রকাশনা বর্তমানে আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃতি পাচ্ছে।
২. মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন : ইসলামী আকিদাভিত্তিক জীবন গঠন ও দ্বীনি শিক্ষা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড পুনর্গঠন করেন। বঙ্গবন্ধুই প্রথম মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে এর নাম রাখেন ‘বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড’।
৩. টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমার স্থান বরাদ্দ : বিশ্ব ইজতেমা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম স্থায়ী বন্দোবস্ত হিসেবে তুরাগ নদের তীরবর্তী জায়গাটি প্রদান করেন। সে হতে অদ্যাবধি তাবলিগ জামাত ওই স্থানে সারা বিশ্ব থেকে মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমা পালন করে আসছেন।
৪. পবিত্র হজ পালনের জন্য সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা : পাকিস্তান আমলে হজযাত্রীদের জন্য কোনো সরকারি অনুদানের ব্যবস্থা ছিল না। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে প্রথম হজযাত্রীদের জন্য সরকারি তহবিল থেকে অনুদানের ব্যবস্থা করেন। ফলে হজ পালনকারীদের আর্থিক সাশ্রয় হয়।
৫. রবিউল আউয়াল মাসে সিরাত মজলিশ প্রতিষ্ঠা : বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনা ও পৃষ্ঠপোষকতায় ঢাকায় সিরাত মজলিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠান গঠন করা হয়। সিরাত মজলিশ ১৯৭৩ ও ১৯৭৪ সালে প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ধরায় আগমনের মাস রবিউল আউয়াল মাসে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৃহত্তর আঙ্গিকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) মাহফিল উদযাপনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ চত্বরে মাহফিলের শুভ উদ্বোধন করেছিলেন।
৬. বেতার–টেলিভিশনে ইসলামি অনুষ্ঠান প্রচার : বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে তারই নির্দেশে সর্বপ্রথম বেতার ও টেলিভিশনে গুরুত্বের সঙ্গে পবিত্র কোরআন ও তার তাফসির এবং অন্যান্য ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করার সুব্যবস্থা করেন।
৭. পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), শবেকদর, শবেবরাত উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা : ধর্মীয় দিবসসমূহ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুই প্রথম বাংলাদেশে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন আর দিবসসমূহের পবিত্রতা রক্ষার্থে সিনেমা হল বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন।
৮. মদ-জুয়া নিষিদ্ধকরণ ও শাস্তির বিধান : ইসলাম ধর্মে মদ-জুয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। ইসলামের এই বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারিভাবে এ দেশে আইন করে এসব অপকর্ম নিষিদ্ধ করেছিলেন এবং শাস্তির বিধান জারি করেছিলেন।
৯. রাশিয়ায় প্রথম তাবলিগ জামাত প্রেরণের ব্যবস্থা তিনিই করেছিলেন।
১০. আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরব বিশ্বের পক্ষে তিনি সমর্থন করেন ও সাহায্য প্রেরণ করেছিলেন।
১১. ইসলাম বিষয়ক গবেষণার জন্য তিনি বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করেছিলেন।
১২. ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু লাহোরে অনুষ্ঠিত ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) অধিবেশনে যোগদান করেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশকে এই সংস্থার অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়েই বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর মাঝে বাংলাদেশের স্থান করে দেন।
১৩. ইজরাইল মুসলমানদের বিরোদ্ধে অবস্থান নেয়ায় ইজরাইলের স্বীকৃতিকে বঙ্গবন্ধু প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বাংলাদেশে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আরো অনেক যুগান্তকারী অবদানের কথা বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরদিন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

##
এ দেশে ইসলামের সেবায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইসলাম প্রচার-প্রসারে অনেক অবদান রেখেছেন।

১) বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা সদর ও উপজেলায় ৫৬৪টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
৪০ শতাংশ জায়গার ওপর নির্মিত জেলাপর্যায়ে চারতলা, উপজেলায় তিনতলা, উপকূলীয় এলাকায় চারতলা আধুনিক সুযোগ-সুবিধা-সংবলিত সুবিশাল এসব মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে নারী ও পুরুষের আলাদা ওজু ও নামাজ আদায়ের সুবিধা, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয়কেন্দ্র, অতিথিশালা, বিদেশি পর্যটকদের আবাসন, মৃতদের গোসলের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণ, ইমাম মুয়াজ্জিনদের প্রশিক্ষণ, অটিজম কেন্দ্র, গণশিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামি সংস্কৃতি কেন্দ্র থাকবে। এ ছাড়া ইমামণ্ডমুয়াজ্জিনদের আবাসনসহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা এবং গাড়ির পার্কিং সুবিধা রাখা হয়েছে।
সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ দূরীকরণ, নারীর সহিংসতা রোধ, এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ।
২)এ দেশের আলেমণ্ডওলামা-পীর-মাশায়েখদের দাবি ছিল স্বতন্ত্র ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা।
আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সারা দেশের সব ফাজিল ডিগ্রি, কামিল এম এ মাদ্রাসার সমন্বয়ে ২০১৩ সালে ঢাকা মোহাম্মদপুর বসিলায় ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৩) বর্তমানে ৫৪টি মাদ্রাসায় অনার্স কোর্স চালু আছে। জাতীয় সংসদে কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে এমএ সমমান ডিগ্রি দিয়ে সনদ দিয়ে আইন পাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। এজন্য তাঁকে কওমি জননী উপাধী দেন।

এ ছাড়া সারা দেশে ১,০১০টি দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও সম্প্রসারণ, পবিত্র আল-কোরআন ডিজিটালাইজেশন, পবিত্র হজ ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর পবিত্র হজ পালন, পবিত্র মসজিদুল হারাম ও মসজিদে নববির ইমাম ও খতিবের বাংলাদেশে আগমন, প্রায় ৮১ হাজার ১৪৭ জন আলেমণ্ডওলামার দ্বীনি দাওয়াতভিত্তিক কর্মসংস্থানের সুবিধা, বিনা মূল্যে ২১ লাখ ৬১ হাজার ৮৪১ কপি পবিত্র কোরআনুল কারিম বিতরণ, ২ লাখ ১২ হাজার ইমামকে ইসলামি বুনিয়াদি শিক্ষার প্রশিক্ষণ প্রদান, মসজিদে জুমার প্রাক-মুতবার মাধ্যমে আলেমণ্ডওলামার দ্বারা জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসী ও সামাজিক সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতা সৃষ্টি, আন্তর্জাতিক হিফজ কিরাত ও তাফসির প্রতিযোগিতায় সাফল্য, ইসলামিক ফাউন্ডেশন হালাল ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি স্থাপন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চারতলার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবন স্থাপন, ৩১ শয্যার ঝালকাঠি ইসলামিক মিশন হাসপাতাল নির্মাণ, ইমামণ্ডমুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করা, ইসলামিক মিশনের মাধ্যমে বিনা মূল্যে চিকিৎসাসেবা ও ওষুধ বিতরণ, দেশের ৬,১০০টি মসজিদে পাঠাগার স্থাপন, জাকাতের মাধ্যমে গরির-দুঃখীদের স্বাবলম্বীতা অর্জন, ১৮টি নতুন ইসলামিক মিশন কেন্দ্র স্থাপন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পেনশন চালুকরণ, এক হাজার বেসরকারি মাদ্রাসায় অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে ডিজিটালে রূপান্তর, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে বিশ্বনেতাদের কাছে বাংলাদেশের আলেমণ্ডওলামার ভূমিকার প্রশংসা, মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের জন্য আর্থিক অনুদান, চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের উন্নয়নকাজ করা, চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদ কমপ্লেক্সকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ন্যস্ত করা, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে মসজিদে ব্যাপক কোরআন শিক্ষা প্রদান ও আরবি ভাষা শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ, করোনা মহামারিতে ইমাম, মুয়াজ্জিনদের ঈদ সম্মানী প্রদান করাসহ অনেক খিদমতই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রূপ দিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনা ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মপ্রাণ ও নামাজি ছিলেন।আমরা কেউ ভুলত্রুটির উর্ধ্বে নয়।
আমাদের ভুলের শাস্তি বা পুরুষ্কার মহান আল্লাহ হাশরের ময়দানে নির্ধারন করবেন।
আমি বিভিন্ন ওয়াজ এর ভিডিও ফুটেজে দেখেছি অনেক হক্কানী আলেম বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার অবদান এর কথা স্বীকার করেছেন।সেই ওহাজগুলো আমি সংরক্ষণ করে রেখেছি।
যারা স্বীকার করছেন না,সে সকল আলেম ওলেমা এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের কাছে আমার প্রশ্ন একেবারে ব্রীটিশ পিরিয়ড থেকে এই পর্যন্ত ইসলাম এর সেবা প্রচার ও প্রসারে কোন রাষ্ট্র প্রধান এবং সরকার প্রধান এতোটা অবদান রেখেছেন?
অথচ আপনারা কতিপয় আলেম, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী এসব অবদানকে স্বীকার না করে কন্টিনিউ মিথ্যাচার করছেন।আমি সবচেয়ে বিস্মিত ও হতাশ হয়েছি – ৫ ই আগস্ট যখন দেখলাম – আপনার মায়ের সমতুল্য একজন মহিলার অন্তর্বাস নিয়ে লাফাচ্ছেন,স্বাধীনতার মহান স্থপতির ভাষ্কর্যে প্রস্রাব করছেন।ছি! ছি! ছি!
লজ্জায় ঘৃণায় আমি স্তম্ভিত হয়ে গেছি। আপনাদের ঘরে কি কোনো মা বোন নেই,আপনারা কি কোনো মায়ের গর্ভে জন্ম নেননি? আপনারা সারা বিশ্বে ইসলামের সৌন্দর্যকে বিনষ্ট করেছেন।বিশ্ববাসীর কাছে আমাদের ছোট করেছেন।
যারা এসব ঘৃনীত ও ন্যাক্কারজনক কাজ করেছে ঘৃণার উপরে কোনো ঘৃণা যদি থাকে সেটাই থাকবে তাদের প্রতি সারাজীবন।
আল্লাহ একমাত্র ন্যায় বিচারক।নিশ্চই আল্লাহ মোনাফেকদের বিচার করবেন- সেই প্রত্যাশায় থাকলাম।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved