নবম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আহসান হাবীবের উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। আজ ( ৬ ই মে) মঙ্গলবার বিকাল ২টায় হাটহাজারী পৌরসভাধীন ব্রাইট ফিউচার স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মোঃ আহসান হাবীব এর উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে পরিবারের পক্ষ থেকে হাটহাজারী বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন হোটেল জামান এর ৩য় তলায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, আহসান হাবিবের মা রুপা আকতার, স্বামী-মোঃ জসিম উদ্দিন, পিতা-মোঃ আব্দুল হামিদ, সাং-ফটিকা, শাহ জালাল পাড়া, মৌলভী ফজর আলীর বাড়ী ০৫ নং ওয়ার্ড, হাটহাজারী পৌরসভা, হাটাহাজারী, চট্টগ্রাম।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার ছেলে মোঃ আহসান হাবিব, বাসা থেকে বের হলে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে হামলা করে ১। মোঃ নাজিম উদ্দীন, ২। মোঃ আজম খান, উভয়ের পিতা- মৃত হারুন অর রশিদ।
৩। নাহিদা আকতার, স্বামী-মোঃ নাজিম উদ্দীন,
৪। হাসিনা বেগম, স্বামী-মোঃ আজম খান, সাং-ফটিকা, শাহ জালাল পাড়া, মৌলভী ফজর আলীর বাড়ী, ০৫ নং ওয়ার্ড, হাটহাজারী পৌরসভা, হাটাহাজারী, চট্টগ্রাম,
৫। দিদারুল আলম প্রঃ বাঁচা, পিতা-মৃত আব্দুল হক, সাং-পূর্ব আলমপুর, ০৭ ওয়ার্ড, আনজত আলী সারাং বাড়ী, হাটহাজারী পৌরসভা, হাটাহাজারী, চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, হামলাকারীদের সাথে পূর্ব হইতে আমাদের জায়গা জমিনের বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। যাহার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতে মামলা-মোকদ্দমা চলমান রহিয়াছে। আমি ২ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তানের জননী।
বিগত ০১/০৫/২০২৫ ইং তারিখ সকাল বেলা অনুমান ১০.১০ ঘটিকার সময় আমার বড় ছেলে ভিক্টিম মোঃ আহসান হাবিব (১৫) বাজার করার উদ্দেশ্যে ঘর হতে বাহির হইলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ছেলের পথরুদ্ধ করে আমার ছেলেকে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং আমার ছেলেকে মারতে শুরু করে।
এক পর্যায়ে মোঃ নাজিম উদ্দিন তাহার হাতে থাকা ধারালো কিরিচ দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ছেলের মাথায় কোপ দেওয়ার উপক্রম হয়। তখন আমার ছেলে মাথা সরিয়ে নিলে উক্ত কোপ আমার ছেলের বাম হাতে লেগে বাম হাত গুরুতর কাঁটা জখম প্রাপ্ত হয়। ঐ সময় নাহিদা আকতার আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরে এবং হাসিনা বেগম ও দিদারুল আলম আমার ছেলের হাত ও পা ধরে রাখে। মোহাম্মদ আজম খান তাহার হাতে থাকা লোহার বড় রড দ্বারা আমার ছেলেকে এলোপাতাড়ি উপয্যপুরি আঘাত করতে থাকে, তখন আমার ছেলের চিৎকার শুনে আমি ঘর হতে বাহির হইয়া আসি এবং আমার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য গেলে নাহিদা আকতার আমাকে ঝাপটে ধরে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, তখন আমি আমার স্বামীকে ফোন করার জন্য মোবাইল হাতে নিলে নাহিদা আকতার মোবাইল ফোনটি আমার হাত থেকে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। যাহার অনুমানিক মূল্য ২০,০০০/- টাকা এবং আমার গলায় থাকা ১ ভরি ৫ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। যাহার মূল্য ১,৮৫,০০০/- টাকা।
তখন আমাদের আত্ম-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করতে এলে হামলাকারীরা আমার ছেলে ও আমার স্বামীকে প্রাণে মেরে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনায় আমার ছেলে গুরুতর রক্তাক্ত কাঁটা জখম প্রাপ্ত হওয়ায়, আমার ছেলেকে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আমার ছেলেকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন। আমার ছেলে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি বাদী হয়ে হাটহাজারী মডেল থানায় ০২/০৫/২০২৫ইং তারিখে মামলা দায়ের করি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হাটহাজারী থানা প্রশাসন অদ্যবধি কোনো আসামী গ্রেফতার করে নাই। বর্তমানে আসামীগণ প্রকাশ্যে দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং প্রতিনিয়ত আমাদেরকে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে। তাই আমি নিরুপায় হইয়া সংবাদ সম্মেলন করছি।
তিনি তার লিখিত বক্তব্য আরো বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মশিউজ্জামান স্যার এবং হাটহাজারী পুলিশ প্রশাসন সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা অনতিবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার করে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি।