৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রী. অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত, ইতিহাস- ঐতিহ্যের স্মারক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। দেশের ছাত্ররাজনীতিতে এই নির্বাচন বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে। ডাকসুর ২৮টি পদে প্রার্থী হওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ৬৫৮ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও, শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেন ১০৬ জন। নির্বাচনে ভোট দেবেন ৩৯ হাজার ৮৭৪ শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছাত্রী ভোটার আছেন ১৮ হাজার ৯৫৯ জন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি হলে—১৫টি ছেলেদের এবং ৪টি মেয়েদের হলে—ভোট গ্রহণ হবে।
এবারের নির্বাচনে ১০টি প্যানেল গঠিত হয়েছে এবং প্যানেল ছাড়াও একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত এই নির্বাচনে সন্দ্বীপের তিন শিক্ষার্থীও প্রার্থী হয়েছেন। গণিত বিভাগের মাস্টার্স শিক্ষার্থী মহির আলম (২০১৮–১৯ সেশন) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংসদ (বাগছাস) প্যানেল থেকে সমাজসেবা সম্পাদক পদে। তাঁর ব্যালট নং ৭। মহির আলমের বাড়ি সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নে। বাবা মনজুর আলম, মা সুরমা বেগম।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী মাসউদুল বারী রাফি (২০২১–২২ সেশন) লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে। তাঁর ব্যালট নং ৫। রাফির বাড়ি সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে। বাবা ডা. রিদওয়ানুল বারী, মা নাছরীন বেগম।
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী তাছনীম উদ্দীন (২০২৩–২৪ সেশন) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর ব্যালট নং ৪৬। বাড়ি সন্দ্বীপের মুছাপুর ইউনিয়নে। বাবা জসীম উদ্দীন, মা কাজী কোহিনূর বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে সন্দ্বীপের প্রায় ১২০ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। তাঁদের মধ্য থেকে তিনজনের ডাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা ইতিবাচকভাবে দেখছেন।