চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ধর্মের নামে সন্ত্রাস, বিভেদ ও অপব্যাখ্যা কোনোভাবেই ইসলাম অনুমোদন করে না। নবীর শিক্ষা হলো মানবতার শিক্ষা, শান্তি-
শৃঙ্খলার শিক্ষা। তাই কোরআন-সুন্নাহর আলোয় আলোকিত সমাজই পারে প্রকৃত কল্যাণ বয়ে আনতে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার, ৭ সেপ্টেম্বর নগরীর কাজীর দেউরী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এ মাহফিলে প্রধান মেহমানের বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) মানবজাতির জন্য শান্তি, কল্যাণ ও মুক্তির বার্তা নিয়ে এসেছিলেন। অন্ধকার যুগে তিনি আলোর দিশা দেখিয়েছেন। পৃথিবীতে আগমনের পূর্বেই তাঁর নাম ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ লেখা ছিল, যা প্রমাণ করে আল্লাহ তায়ালা তাঁকে সর্বশ্রেষ্ঠ মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছেন। কোরআন হলো এমন এক গ্রন্থ, যার একটি অক্ষরও পরিবর্তন হয়নি। তাই আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কোরআন-সুন্নাহকে অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত সকল নবীর কাছে আল্লাহ তায়ালা সহীফা ও কিতাব নাজিল করেছেন। তবে সর্বশেষ ও চূড়ান্ত গ্রন্থ হলো আল-কোরআন, যা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর কাছে নাযিল হয়েছে। আজকের এ মাহফিলে আমাদের অঙ্গীকার হোক আমরা কোরআন-সুন্নাহর আলোকে সমাজকে আলোকিত করব এবং বেশি বেশি দরুদ পাঠের মাধ্যমে প্রিয় নবীর প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করব।
এসময় তিনি উপস্থিত সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, নবীর শিক্ষা হলো মানবতার শিক্ষা, সত্যের শিক্ষা। আসুন আমরা সবাই মিলেমিশে দেশ ও সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করি এবং ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও বিভেদ রুখে দিই।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ অছিয়র রহমান আল কাদেরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দ জালাল উদ্দিন আল আজহারি। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চসিক সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় প্রধানবৃন্দ এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। মিলাদ ও কেয়াম পরিবেশন করেন চসিকের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী। অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সমাজকল্যাণ ও সংস্কৃতি কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।