বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী জামাতের আমির মোঃ হাটহাজারী উপজেলা শাখার আমির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ সিরাজুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব দিয়েছেন অধ্যাপক সোয়াইব চৌধুরীকে। এর আগে তিনি উপজেলা নায়েবে আমিরের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
আজ সন্ধ্যায় হাটহাজারীতে আয়োজিত উপজেলা জামাতের এক জরুরী রুকন সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন, জামাতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলার আমির মোঃ আলাউদ্দিন সিকদার।
অধ্যাপক শোয়াইব চৌধুরীর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত এ রুকন সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল জব্বার, চট্টগ্রাম জেলা শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম এবং মাওলানা জামাল হোসাইন।
উক্ত সম্মেলনে জেলা জামাতের আমির আলাউদ্দিন সিকদার বলেন, জামাতে ইসলামীর নেতৃত্বে পরিবর্তন হতে পারে কিন্তু সংগঠনের প্রতি আনুগত্যের কোন পরিবর্তন হয় না।
উল্লেখ্য, গত ৩১শে আগস্ট রাত ১২ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন নারী শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ২ নং গেট সংলগ্ন ভাড়া বাসায় প্রবেশের সময় দারোয়ানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে । উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং জোবরা গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অনেকেই গুরুতর আহত হয়।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ৭ই সেপ্টেম্বর জোবরা গ্রামবাসী এক উঠান বৈঠকের আয়োজন করে। উক্ত ওঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি ছিলেন, হাটহাজারী উপজেলা জামাতের আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম, তিনি তার বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয় ও এই এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, আমাদের উপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে,এটা মেনে নেব না।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উচিত আমাদের সম্মান করা। আর যদি তারা আমাদের সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
মূলত এই বক্তব্যের পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফুসে ওঠে। এ বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী হাটহাজারী উপজেলা আমিরের পদ থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।