পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব জননেতা খোরশেদুল আলম বলেন, কাল্পনিক মামলা দিয়ে বিএনপি ধ্বংসের মাস্টারপ্ল্যান হাতে নিয়েছে আওয়ামী দোসর ও ইস্কন সদস্য শ্যামল মাস্টার। তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। গায়েবী ও মিথ্যা মামলা দেওয়া আওয়ামী খাসলত। ফ্যাসিবাদের দোসর শ্যামস মাষ্টার এখনো তার আওয়ামী খাসলত ছাড়তে পারেননি।
পটিয়া উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হাইদগাঁও ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণে’র ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। তিনি অবিলম্বে বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার আহবান জানিয়ে বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে যারা আমার সাথে কারাভোগ করেছিলেন এমন অনেক দলীয় কর্মীকে মিথ্যা মামলায় আসামী করা হয়েছে। হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক শ্যামল মাষ্টারের সাথে বিগত ২১/০৮/২৫ ইং তারিখে সংঘটিত ঘটনার পর তিনি হামলাকারীদের চিনতে না পারার কথা জানালেও পরবর্তীতে ১৯ জন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সদস্য, পরিচালনা পরিষদের সভাপতি, দাতা সদস্য, মুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীদের মামলার আসামী করা হয়।
তিনি বলেন, একজন শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা নিন্দনীয়। তবে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপিকে ফাঁসানোর চেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না। এই মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার না হলে আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
উল্লেখ্য, উপজেলার হাইদগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক শ্যামল কান্তি দে’র উপর বিগত ২১/৮/২৫ তারিখে দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ২৭/৮/২৫ জনের নাম উল্লেখপূর্বক মামলা দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা নাছির উদ্দিন, ওবায়দুল হক রিকু, মীর সাইফুর রহমান, ফোরকান বাবু, জাহেদ, আব্দুল কাদের, ওসমান ফারুক সানি, নাজিম উদ্দীন, মোহাম্মদ আইয়ুব আলী হিরো, মোহাম্মদ ইব্রাহীম, মহিউদ্দিন রানা, মোরশেদ আলম ইমন, মোহাম্মদ জামাল উদ্দীনসহ প্রমুখ।