ঢাকা, বুধবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৫, ৩ বৈশাখ, ১৪৩২, ১৭ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ

জলাবদ্ধতামুক্ত প্রশাসনিক জোর কার্যক্রমে-সচিক প্রশাসক তোফায়েল

মোহাম্মদ মাসুদ

চট্টগ্রাম: চসিক প্রশাসকের নতুন দায়িত্ব নিয়ে
বিশেষ নজরে আসলেন সবার মাঝে বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম। চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে প্রয়োজনীয় কার্যকরী জরুরি পদক্ষেপসহ প্রশাসনিক শৃঙ্খলায় বিশেষ জোর দিতে হবে বলে তিনি আলোচনা করেন।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকালে টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে যোগদানের পর বিভাগীয়
প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। এ সময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চসিকের কার্যক্রম তুলে ধরেন

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম প্রশাসককে চসিকের কার্যক্রম সম্পর্কে সংক্ষেপে আলোকপাত করেন।

সভায় প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (সিডিএ) সংশ্লিষ্ট সবগুলো প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে জলাবদ্ধতামুক্ত চট্টগ্রাম গড়তে হবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও আলোকিত রাখার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

বিশেষ করে চসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে প্রশাসনিক শৃঙ্খলা ও চেইন অফ কমান্ড শক্তিশালী করে নগরবাসীকে সর্বোচ্চ মানের সেবা দেয়ার বিষয়ে এগিয়ে যেতে হবে। কোন ধরনের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্রতিষ্ঠান যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রশাসক বলেন, নগরীর কিছু বর্জ্য চসিকের ব্যবস্থাপনার আওতার বাইরে থাকায় খাল-নালায় চলে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। এজন্য পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমের ওপর তদারকি বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, চসিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। এখানে যা আয় হয় তা নগরবাসীর সেবাতেই ব্যয় হয়। আয় যদি ঠিকমতো না হয় তাহলে জনগণকে সেবা দেয়া যাবে না। এজন্য রাজস্ব আয় বাড়াতে পদক্ষেপ নিতে হবে। চসিক পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতে সেবার মান বাড়ে সে ব্যাপারে কাজ করতে হবে।

এ সময় চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, উপ-সচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম,প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীসহ চসিকের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য:
প্রশাসক হিসেবে নতুন দায়িত্বে নিয়ে আলোচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম নগরবাসীসহ সবার মাঝে ও দেশজুড়ে। চসিকের কার্যক্রম সম্পর্কে নতুন প্রশাসক সবার সংক্ষিপ্ত আলোচনা শুনেন।  সংক্ষেপে আলোকপাতকালে এসময় উপস্থিত কর্মকর্তাদের সামনে প্রশাসনিক জোর ও জলবদ্ধতা দূরকরনে জোরালো ভূমিকায় কার্যকরী পদক্ষেপের কথা বলেন।

চসিক আওতাভুক্ত এলাকাধীন ও নিয়ন্ত্রিত দেশের একমাত্র শীর্ষ ও অন্যতম অর্থনীতি নির্ভর করে। বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বন্দরনগরী বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম রসিকের আওতাভুক্ত। চসিক প্রশাসক হিসেবে যোগ দিয়ে বিশেষ আলোচিত হয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।

সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনের কার্যক্রমে আলোচিত ও প্রশংসিত হয়েছিল চট্টগ্রাম ও নগরবাসীসহ দেশজুড়ে। সেই ধারাবাহিকতায় হয়তো প্রশাসকের নতুন পদক্ষেপে চসিকের প্রশাসন ও শৃঙ্খলায় এবং নগরবাসীর জনসেবায় বিশেষ জোরালো সক্রিয় কার্যক্রমে পরিবর্তন আনবেন তিনিও। অনিয়ম দুর্নীতি দূর করবেব। নতুন কোন কার্যক্রমে তিনিও সবার আস্থা এবং আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবেন বলে সকলের আশা। এমনই আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা নগরবাসীর।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved