আমি অতি ক্ষুদ্র একজন মানুষ। একেবারে নক্ষত্রের নীচে পড়ে থাকা অচল একজন মানুষ।
তবে বাংলাদেশকে অনেক ভালোবাসি।বাংলাদেশের স্বার্থ ভুলুন্ঠিত হোক সেটা কিছুতেই মেনে নিতে পারবোনা। আর সেই ভালোবাসার তাগিদ থেকে মনের মধ্যে নানান প্রশ্ন জাগে।আপনাদের জানা থাকলে বলবেন প্লিজ।কারণ আমার জানাটা ভুলও হতে পারে।
তা’ছাড়া মিডিয়ার সব কথার উপর আজকাল আস্থাও রাখতে পারিনা। আমার প্রশ্ন :
১) মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে যোগাযোগের জন্য ‘মানবিক করিডোর’ দেওয়ার বিষয়ে আপনার মতামত কি?
২) আপনি কি মনে করেন এ সিদ্ধান্তের সঙ্গে দেশের স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব এবং ভবিষ্যতে এ অঞ্চলের শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে?
৩) ভারত এবং চীন কেন এই দায়িত্ব নিলোনা?ভৌগলিক অবস্থান থেকে তাদেরও সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ কোন প্রেক্ষিতে রাজি হলো?
৪) এ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার আসলে কার? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নাকি নির্বাচিত সরকারের? কিংবা অন্তর্বর্তী সরকার এ জাতীয় সিদ্ধান্ত নিতে গেলে কি বৃহত্তর রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এর প্রয়োজন আছে?
৫) এই প্যাসেজ বা করিডোর দিয়ে মূলত: কি যাবে? ঔষধপত্র যাবে নাকি সামরিক সরঞ্জাম যাবে সেটা জাতির কাছে ষ্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন আছে কি? এতে করে অযাচিত কোনো যুদ্ধ বিগ্রহের সম্ভাবনা নেইতো?
৬) এমনিতেই রোহিঙ্গাদের জ্বালায় বাঁচিনা, তার উপর – গোদের উপর বিষফোঁড়া! সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলো ১৮০০০০ রোহিঙ্গা ফেরত যাবে উল্টো ১১৩০০০০ ঢুকে পড়েছে। তার উপর এই করিডোর কোনো বিপর্যয় ডেকে আনবেনাতো?
৭) বি এন পি নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট ফজলুর রহমান এর বক্তব্যে শুনলাম- ১৯৭১ সালের ২৩মার্চ আমেরিকার রাস্ট্রদূত ফাইল্যান্ড বঙ্গবন্ধুকে
বলেছিল – তাদের একটি জাহাজ সেন্টমার্টিন দ্বীপে থাকবে,বিনিময়ে তুমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা নাও।
বঙ্গবন্ধু সেদিন বলেছিলেন,এক ইঞ্চি জায়গা দিয়েও আমি আমার দেশের স্বাধীনতা চাইনা।
আপনারা কি চান- কোনো বিদেশী শক্তি বাংলাদেশের মানচিত্রে ঘাটি করুক?
আমি অন্তত চাইনা। আমি শংকিত আমার দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়ে। আমারতো মনে হয় দেশপ্রেমিক সকল জনগণের উচিত সরকারকে সঠিক পরামর্শ দেয়া।