ঢাকা, মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, ২১ জিলকদ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দেশের প্রথম আবহাওয়া ক্লাব উদ্বোধন
মানবসেবা সংগঠন উদ্যোগে হালিশহরে শরবত বিতরণ
চট্টগ্রামে পাহাড়ধস এর প্রেক্ষিতে ট্রিগার থেশহোল্ড বিষয়ক বৈধকরণ সভা অনুষ্ঠিত
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্ববৃহৎ (৫ম) সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল
স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বরগুলো এক কন্ঠস্বরে রূপান্তর হলে অপারেজেয় শক্তির অভ্যুদয় ঘটে
চট্টগ্রামে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের আড়ম্বরপূর্ণ শান্তি শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত
৯৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মা দিবস ও অভিভাবক সমাবেশ
নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ এবং অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইটা কঠিন
সীতাকুণ্ডে প্রকৌশলীর বাড়িতে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হামলা 
শ্রীশ্রী মা মগধেশ্বরী জাগ্রত মন্দিরের ২১তম বার্ষিকী

আপনার শিশুর খেলনা, আমার শিশুর খাবার

একজন ফেরীওয়ালা চলন্ত বাসে শিশুদের খেলনা বিক্রি করছিলেন। ব্যবসার কৌশল হিসাবে হোক বা বাস্তব উপলব্ধি হোক “আপনার শিশুর খেলনা, আমার শিশুর খাবার “ – এ কথাটি বলে তিনি ক্রেতার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছিলেন বারবার। কেউ কিনেছেন, কেউ কেনেননি। তাতে তার ভ্রুক্ষেপ নেই। সে তার কথা বলেই চলেছেন এবং বলতে বলতে তার সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে নেমে গেলেন‌।

ফেরিওয়ালার কথাটি প্রথমে ব্যবসায়িক কৌশল মনে হলেও গভীরভাবে চিন্তা করলে দেখা যায়, এ কথায় অনেক কথা ও ভাবনা লুকিয়ে আছে।
প্রথমত: সহজ কথায় এটা তার ব্যবসায়িক কৌশল। অর্থাৎ একজন ধনী লোক তার শিশু- সন্তানদের আনন্দ- বিনোদনের জন্য যে খেলনা ক্রয় করবে, ঐ টাকা দিয়ে বিক্রেতা ফেরিওয়ালা তার শিশু-সন্তানদের জন্য খাবার কিনবে। সাধারণভাবে এতে তেমন কোন কিছু মনে করার/চোখে পড়ার কথা নয়।

দ্বিতীয়ত: এটি ধনী- গরীব বৈষম্যের চলমান চিত্র। ধনী লোকের কাছে বা তার সন্তানের কাছে খেলনা আনন্দ- বিনোদনের উপকরণ মাত্র। আর গরিব ফেরিওয়ালা বা তার সন্তানের কাছে জীবন সংগ্রাম বা বেঁচে থাকার উপকরণ।

তৃতীয়ত: এটি তার গভীর বেদনাবোধ। ঐ ফেরিওয়ালাটি হয়তো মনে মনে ভাবছে, ধনীর সন্তানদের খাবার নিয়ে ভাবতে হয়না। বরং তারা কম খায় কেন, সে জন্য রীতিমত ডাক্তারের শরণাপন্ন হয় তাদের মা-বাবা। আর গবীরের সন্তানেরা বেশী খায় কেন, সেজন্য মা- বাবা বা অন্যান্য নিকটজনের কাছে বকা-ঝকা শুনতে হয় এবং মাঝে মাঝে মারও খেতে হয়। গতকাল একটি ফেসবুক পোস্টে দেখলাম –
“ধনীরা দৌড়াই খাবার হজমের জন্য” আর
“গরীবেরা দৌড়াই খাবার সংগ্রহের জন্য” !
চতুর্থত: এটি চলমান সমাজ ব্যবস্থার প্রতি তার ব্যঙ্গ ও ঘৃণার বহি:প্রকাশ। মানুষ হিসাবে সমাজ, দেশ, জাতি ও রাষ্ট্রে সকলেই প্রায় সমান সুবিধা পাবার কথা। কিন্তু, দূর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে ধনী- গরীবের এ ব্যবধান ক্রমশ: বেড়েই চলেছে। এক দশক আগেও ধনী- গরীবের এ ব্যবধান ছিল ৪০ : ০১ । এখন ধনী- গরীবের এ ব্যবধান ১২৮ : ০১ । দিন দিন এ বৈষম্য বেড়েই চলেছে। এ প্রসঙ্গে ছোট বেলায় পড়া একটি কবিতার কথা মনে পড়লো-

“জগৎ জুড়িয়া এক জাতি আছে
সে জাতির নাম মানুষ জাতি;
এক পৃথিবীর স্তন্যে লালিত
একই রবি শশী মোদের সাথি।
বাহিরের ছোপ আঁচড়ে সে লোপ
ভিতরের রং পলকে ফোটে
বামুন, শূদ্র, বৃহৎ, ক্ষুদ্র
কৃত্রিম ভেদ ধুলায় লোটে”।

প্রশ্ন আসে, তাহলে ধনী- গরীবের এ ব্যবধান কেন ? এ প্রশ্নের উত্তরে অনেক কথা আসবে ….. !
এ প্রসঙ্গে আমার ছেলের সংগ্রহ থেকে পড়া একটি বইয়ের কথা মনে পড়লো –
Robert T. Kiosaki এর লেখা “Rich Dad-Poor Dad” বইতে লেখক মুলত: ধনী-গরীবের এ ব্যবধান/বৈষম্য এবং ধনী ও গরীব পিতা কর্তৃক তার সন্তানদেরকে দেয়া শিক্ষা ও দিক নির্দশনা সম্পর্কে বলেছেন‌।
একজন ধনী পিতা তার সন্তানকে শিখায় আয়েশী ও বিলাসী জীবন যাপন। পক্ষান্তরে, একজন দরিদ্র পিতা তার সন্তানদেরকে শিখায় কঠিন জীবন সংগ্রাম, দায়িত্বশীলতা ও টিকে থাকার গল্প।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭৩০
৩১  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved