ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২, ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
বিএনপি সমন্বয়কদের উপর হামলা: একে অপরকে দোষারোপ
তিন ডাকাতের নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম শহরের চুরি-ডাকাতি, আছে শতাধিক মামলা
মানবতাই শ্রেষ্ঠ, ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা:(মাতপ,স) সিলেট
মেহেদীর রং শুকানোর আগেই না ফেরার দেশে ফটিকছড়ির প্রবাসী মঞ্জু
কাঠের ব্রিজ থেকে হালদা নদীতে পড়ে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
নতুন রাজনৈতিক দল’র আত্মপ্রকাশে রফিকুল ও ফাতিমা:মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনমনে
চট্টগ্রামে বাসে ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেফতার
বন্দর’র সর্বোচ্চ শত কোটি টাকা অর্জনে মেয়র শাহাদাত প্রসংশিত
সীতাকুণ্ড সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ রাজন আর নেই
উৎসবমুখর পরিবেশে ইপসার বর্ষবরণ উদযাপন

পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনিয়ম ও দালালদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ চলতেছে দূর্নীতি আর দালালদের মহড়া। আর এই মহড়ায় শিকার হচ্ছেন গরিব অসহায় মানুষ। যারা চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়েও ফিরে আসতে হয় খালি হাতে।

ভাটিখাইন গ্রামের ফারজানা আক্তার। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে যান পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ল্যাবে গিয়ে জানতে পারেন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে ডেঙ্গু পরীক্ষা। বহিঃবিভাগের করিডোরে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন রিকশাচালক করিম মিয়া। সন্তানের হাতের এক্সরে করাতে এসেছিলেন তিনি। এসে জানতে পারেন হাতপাতালে বহুদিন ধরে এক্সরে পেপার স্বল্পতায় বন্ধ হয়ে আছে এ সেবা। এদিকে ডেলিভারির সময় পেরিয়ে যাওয়ায় গর্ভবতী স্ত্রীকে হাসপাতালের বাইরে বসিয়ে খোঁজাখুঁজি করছেন হতদরিদ্র কৃষক মহিউদ্দিন। গাইনি ডাক্তারের অভাবে হাসপাতালে নেই সিজারের সুবিধাও। এভাবে দিনের পর দিন চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এক্সরে, ডেঙ্গু টেস্ট, প্রসূতি মায়েদের সিজারসহ ছোট-বড় সব ধরনের অপারেশন রোম।

এ ছাড়া ডাক্তারদের অনিয়মিত আসা-যাওয়া, ক্লিনিকে যেতে বাধ্য করানো, দালালদের দৌরাত্ম্য, তদারকির অভাবসহ নানা সমস্যা জর্জরিত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। ফলে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার কয়েক হাজার দরিদ্র মানুষ। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডেঙ্গু টেস্টের কিট ও এক্সরে পেপার শেষ এবং সার্জারি ডাক্তার চলে যাওয়ার পর শূন্য পদের সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানে নেওয়া হয়নি কোনো উদ্যোগ।

এ ছাড়া পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দখল করে রেখেছে একটি দালাল চক্র। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের চেম্বার থেকে বের হওয়া মাত্রই হাত থেকে ব্যবস্থাপত্র কেড়ে নেন দালালরা। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিজন রোগীকে বেসরকারি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ভর্তি করে দেওয়ার বিনিময়ে ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কমিশন পায় দালালরা গাইণী ডাঃ রা নিয়মিত রোগী দেখেন প্রাইভেট হসপিটালে।

সাংবাদিক মোরশেদ আলম এর সাথে এই বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, ‘হতদরিদ্রদের চিকিৎসা সেবার শেষ আশ্রয়স্থল হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’। এই হাসপাতালে যারা আসেন বেশিরভাগই দারিদ্রতার মধ্যে বসবাস করেন। হাসপাতালে এসে চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হলে তাদের আর সামর্থ্য নেই যে প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার। পটিয়ার মত একটি উপজেলায় রোগীরা স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হওয়া মানে ব্যাপারটি খুবই দুঃখজনক।

তিনি ডাক্তারদের অবহেলা ও রোগীদের সেবা না দিয়ে ক্লিনিকমুখী করানো, স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তদারকিতে গাফিলতি, দালালদের দৌরাত্ম্য, হাসপাতাল সিন্ডিকেট সহ ডাক্তারদের নিয়মিত হাসপাতালে উপস্থিত না থাকাকে অনিয়মের বড় কারন হিসেবে দেখছেন। দ্রুত এই সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকতাদের প্রতি তিনি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

পটিয়া এলাকাবাসীর একটাই চাওয়া পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অনিয়ম ও দালাল মুক্ত হোক।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved