ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ৫ বৈশাখ, ১৪৩২, ১৯ শাওয়াল, ১৪৪৬
সর্বশেষ
বিএনপি সমন্বয়কদের উপর হামলা: একে অপরকে দোষারোপ
তিন ডাকাতের নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম শহরের চুরি-ডাকাতি, আছে শতাধিক মামলা
মানবতাই শ্রেষ্ঠ, ঈদ পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা:(মাতপ,স) সিলেট
মেহেদীর রং শুকানোর আগেই না ফেরার দেশে ফটিকছড়ির প্রবাসী মঞ্জু
কাঠের ব্রিজ থেকে হালদা নদীতে পড়ে প্রবাসী যুবকের মৃত্যু
নতুন রাজনৈতিক দল’র আত্মপ্রকাশে রফিকুল ও ফাতিমা:মিশ্র প্রতিক্রিয়া জনমনে
চট্টগ্রামে বাসে ১৪ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণ, চালক-হেলপার গ্রেফতার
বন্দর’র সর্বোচ্চ শত কোটি টাকা অর্জনে মেয়র শাহাদাত প্রসংশিত
সীতাকুণ্ড সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রিয় মুখ রাজন আর নেই
উৎসবমুখর পরিবেশে ইপসার বর্ষবরণ উদযাপন

পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গড়তে কোনো ছাড় দেব না: মেয়র ডা. শাহাদাত

চট্টগ্রাম শহরকে পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে গড়ার ক্ষেত্রে কোন ছাড় না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত।
শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ তহবিল কর্তৃক আয়োজিত পরিচ্ছন্ন বিভাগের প্রকাশ বিশ্বাস ও ওবায়দুল হক এর অবসর অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রনব শর্মা, হাসান রশীদ, আলী আকবর, কল্লোল দাশ, আবু তাহের সিদ্দিকী,
জাহেদুল্লাহ রাশেদ, মহিউদ্দিন আহমেদ, সুজন দাশ, খোরশেদ আলম, বোরহানুল আলম, রহিম উদ্দীন, নাসির উদ্দীন, ইকবাল হোসেন, হৃদয় হোসেন, হাসানুজ্জামান সায়েম প্রমুখ, রিপন কিশোর রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে আমরা কোনো ছাড় দেব না। দোকান ও শপিং মলগুলোর সামনে বিন (ডাস্টবিন) রাখতে হবে এবং দোকানিদের দায়িত্ব নিতে হবে সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের। আমি নিয়মিত মনিটরিং করছি এবং কেউ যদি দায়িত্বে অবহেলা করেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।”
তিনি আরও বলেন, শহরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য সুপারভাইজারদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে হবে। যদি কোনো কর্মী অসুস্থ থাকেন বা বয়সজনিত কারণে কাজ করতে না পারেন, তাহলে তাদের পরিবারের অন্য সদস্যদের চাকরির সুযোগ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আমরা চাই পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের প্রতি মানবিক হতে এবং যারা সত্যিকারের কাজ করতে অক্ষম তাদের বিকল্প ব্যবস্থা করতে।” মেয়র জানান, সিটি কর্পোরেশনকে স্বয়ংসম্পূর্ণ ও আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে তিনি নিরলস কাজ করছেন। তিনি বলেন, “বন্দর থেকে ন্যায্য হিস্যা আদায়ের জন্য আমি উদ্যোগ নিয়েছি। রাজস্ব আদায় বাড়াতে অটোমেশন ব্যবস্থা চালু করছি যাতে শতভাগ কর আদায় সম্ভব হয়। যদি আমি সফল হই, তাহলে কর্মচারীদের বেতন প্রদান ও নাগরিক সেবা প্রদানে আমার জন্য কোনো সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, আমি চাই সিটি কর্পোরেশন একটি স্থিতিশীল ও আয়বর্ধক সংস্থা হয়ে উঠুক। যারা কর দিচ্ছেন না, তাদের কর দিতে বাধ্য করতে হবে। এতে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে এবং কর্মচারীদের বেতন কাঠামো স্থায়ী করা সম্ভব হবে। শহরের উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমি চট্টগ্রামকে একটি গ্রীন সিটি বানানোর পরিকল্পনা করছি। প্রতিটি ওয়ার্ডকে সবুজায়নের আওতায় আনতে চাই। পর্যাপ্ত আলোকায়নের জন্য স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হবে, যাতে রাতেও শহর আলোকিত থাকে। রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, যা শেষ হলে শহরের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে। মেয়র শহরের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এই শহর আমাদের সবার, তাই একে পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের দায়িত্ব। পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সহযোগিতা করুন, কর পরিশোধ করুন এবং শহরের সৌন্দর্য রক্ষায় সচেতন হোন।” তিনি আরও বলেন, “আমি চাই, দলমত নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে কাজ করি, কারণ আমাদের সবার লক্ষ্য হওয়া উচিত চট্টগ্রামকে একটি উন্নত ও পরিচ্ছন্ন শহর হিসেবে গড়ে তোলা।” অনুষ্ঠানের শেষ অংশে বিদায়ী কর্মকর্তাদের অবদানের প্রশংসা করে মেয়র বলেন, “আপনারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়নে কাজ করেছেন। আপনাদের এই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভবিষ্যতে যেকোনো পরামর্শ বা সহযোগিতার জন্য আপনারা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।”

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১
১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved