চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টিতে বা জোয়ারের পানিতে অরক্ষিত খাল, নালা, ড্রেনে পড়ে প্রাণহানি ঠেকাতে এধরনের ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলো চিহ্নিত করে বৃহস্পতিবারের মধ্যে তালিকা প্রণয়ন ও জমাদানের নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
রোববার নগর ভবনে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রকৌশল ও পরিচ্ছন্ন বিভাগের সাথে আয়োজিত এক বিশেষ সভায় মেয়র বলেন, এই দুঃখজনক ঘটনায় আমরা কেউ দায় এড়াতে পারি না। একজন নগরবাসী হিসেবে ও মেয়র হিসেবে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে আমাদের কাজ করতে হবে। মাঠপর্যায়ে কর্মরত প্রকৌশলী, পরিচ্ছন্ন বিভাগের জোন প্রধানবৃন্দ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে স্ব-স্ব আওতাধীন ওয়ার্ডের কোথায় ম্যানহোলের ঢাকনা নেই, কোথায় স্ল্যাব খোলা আছে, কোথায় উন্মুক্ত নালা-খাল আছেতা চিহ্নিত করে রিপোর্ট দিবেন। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি জানান, ঝুঁকিপূর্ণ খাল বা নালাগুলোতে আপাতত বাঁশ দিয়ে ঘিরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পরে স্থায়ী ঘেরাও দেয়া হবে। মেয়র আরও বলেন, “আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাটে চসিকের মার্কেট ভেঙে দিয়েছি, যেখানে থেকে বছরে প্রায় ১২-১৪ লাখ টাকার রাজস্ব আসতো। জনগণের কষ্ট লাঘবই আমাদের অগ্রাধিকার।”
চট্টগ্রাম নগরবাসীর উদ্দেশে মেয়র বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো মায়ের বুক খালি হোক। এ শহরকে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও বাসযোগ্য রাখতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের প্রত্যেককে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। ম্যানহোল খোলা থাকলে, নালার পাশে নিরাপত্তা না থাকলে যে কেউ আমাকে বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানাতে পারেন।”
সভায় নাগরিকদের কাছ থেকে এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ খাল, নালা, ম্যানহোলের তথ্য সংগ্রহে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মাসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।