জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনের সাবেক এমপি আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু বিএনপির একজন নিবেদিত প্রাণ। তিনি ১৯৯১ সাল থেকে মোট পাঁচটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-২ ইসলামপুর আসনে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি অষ্টম জাতীয় সংসদের গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু ১৯৮২ সালে ছাত্র অবস্থায় ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে পূর্ব অঞ্চল ও পশ্চিম অঞ্চলের শিক্ষক, ছাত্র, কৃষক জনতা ,হাফেজ, মাওলানা, রাজনীতিবিদ, কামার, কুমার, জেলে, তাঁতি, ইমামদের ঐক্যবদ্ধ করে নিন্মঅঞ্চল ঐক্যজোট গঠন করে পথে প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ইসলামপুরবাসীর মাঝে বিএনপি বড় দল থেকে যখন সবাই জাতীয় পার্টিতে চলে যায় ঠিক সেই মুহূর্তে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির হাল ধরেন সুলতান মাহমুদ বাবু। আট বছর পথে প্রান্তে বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে ৯০ এর গণ আন্দোলনে স্বৈরাচারী এরশাদের পতন করে ১৯৯১সালে সুলতান মাহমুদ বাবু তৎকালীন বাংলাদেশ কৃষকলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ৬ বারের এমপি ভূমি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত আলহাজ রাশেদ মোশারফ এর সাথে ভোট যুদ্ধ প্রতিদ্বণ্দিতা করে জনতার ভোটে বিজয় লাভ করেন সুলতান মাহমুদ বাবু।
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু এমপি নির্বাচিত হন তখনই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জামালপুর থেকে দেওয়ানগঞ্জ পর্যন্ত বিশ্বরোড রাস্তা মঞ্জুর করেন।
২০০১ সালের ১লা অক্টোবর থেকে ২০০৬ সালের ২৭ সে অক্টোবর পর্যন্ত সরকারি দলীয় এমপি আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সার্বিক সহযোগিতায় ইসলামপুর উপজেলার যমুনার নদীর তীরে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ ও ব্রহ্মপুত্র নদীর মাঝে নদী শাসন থেকে শুরু করে ইসলামপুর উপজেলার পাকা রাস্তা, কাঁচা রাস্তা, অসংখ্য ব্রীজ , কালভাট ,বিদ্যুৎ , ঢেউটিন, স্কুল, কলেজ, মহাবিদ্যালয়, সেনাবাহিনীতে চাকুরী, পুলিশ, বিজিবি, আনসার, শিক্ষক, শিক্ষিকা, ডাক্তার, মৎস্য বিভাগের চাকুরী, পল্লী বিদ্যুৎ, সরকারি বিদ্যুৎ, পশু ডাক্তার, অসংখ্য চাকুরীর সহ জামালপুর জেলার ইসলামপুর ও বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সচিব ও পুলিশ প্রধান এই ২ জন কে সরকারের সর্বোচ্চ নিয়োগ প্রদান করতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছে বারবার সুপারিশ করেন আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু। আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবুর উন্নয়নের কথা লিখে শেষ করা যাবে না।
আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু এমপি থাকাকালীন সময়ে তার আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা দেখে ২০০৭ সালের ওয়ান ইলেভেনের সময় ফকরুউদ্দিন ও মইনুদ্দিন সরকার দেশে বিভিন্ন এমপি মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা মোকদ্দমা করেছিলেন কিন্তু আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবুর নামে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কেউ কোন প্রকার মামলা করেনি।
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবুকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হোন আলহাজ ফরিদুল হক খান দুলাল।
আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু পরাজিত হওয়ার পর ইসলামপুরের ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল যখন দেখেন আগামী নির্বাচনে সুলতান মাহমুদ বাবুকে কোনভাবেই পরাজিত করা যাবে না সেই জন্য তার অনুসারী মতিউর রহমান ডিজেলসহ অনেক নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করে ইসলামপুরে বিএনপিতে একটি দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এস এম আব্দুল হালিম কে ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব প্রদান করা হয়।
এস এম আব্দুল হালিম ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয়ে ওই সময় এলাকায় কোন যোগাযোগ না রেখে তিনি ঢাকায় অবস্থান করেন। সেই সময়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জামালপুর জেলার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে তদন্ত রিপোর্ট দেখে বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবুকে আবার ইসলামপুর উপজেলা বিএনপির দায়িত্ব প্রদান করেন।
সেই থেকেই আওয়ামী বাকশাল সরকারের দীর্ঘ ১৭ বছরের আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবুর বিভিন্ন নেতাকর্মীদের মামলা হামলা নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়েছে পুলিশ । সেই সময় সকল নেতাকর্মীদের নামে মামলা-হামলা খরচ সহ সকল দায়ভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে বিএনপির দূর্যোগকৃত সময়ে নেতাকর্মীদের মনোবল শক্ত রেখে বিভিন্ন আন্দোলনে অংশ নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম পাড়ি দেওয়ার সময় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের পর উপজেলা বিএনপির আবারো নতুন করে আহ্বায়কের দায়িত্ব পান সুলতান মাহমুদ বাবু।
সেই থেকে গ্রাম গঞ্জে পথে পথে ঘুরে ঘুরে উপজেলার ১০৮টি ওয়ার্ড কমিটি ও ১০টি পৌরসভার ওয়ার্ড কমিটি জনসভার মাধ্যমে এবং বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটির বিশাল জনসভা করে। যা দেখে ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ ইমরান সালে প্রিন্স প্রধান অতিথি, জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীম এবং জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শাহ মোঃ ওয়ারেছ আলী মামুন ইসলামপুর উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপি বিশাল ঐতিহাসিক সম্মেলনের মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা দেন যা ২০২৪ সালে এই কমিটি অনুমোদন করা হয়।
আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু ৪২টি বছর জীবনের প্রথম ছাত্র, যুবক, পুণ্য যুবক, আজ প্রবীণ বর্ষিয়ান রাজনীতিবিদদের মাঝে একজন। যতগুলো আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের নেতৃত্বে হয়েছে।
৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা পলায়নের পর একটি স্বার্থনেষী মহল ও কিছু পথভ্রষ্ট নেতাকর্মীরা উপজেলা বিএনপির ভিতরে কোন্দল সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। ৫ আগষ্টের পর দলের ভিতরে বিশৃঙ্খল করে নতুন মেহমানের আগমন ঘটিয়ে ইসলামপুরে নির্বাচন করতে চান, জনগণের ভালোবাসা পেতে চান। নেতাকর্মীদের দাবী আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবুর তিলে তিলে গড়ে তোলা উপজেলা বিএনপিকে কোনভাবে নষ্ট করতে দেওয়া যাবে না।
সাধারণ নেতাকর্মীদের দাবী ৫ আগষ্টের পূর্বে ব্রহ্মপুত্র ও বহুমুখী যমুনাসহ সারা ইসলামপুরে যেখানেই যান কমিটি একটাই, নেতাও একটাই সেটা হলো আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু।
সাধারণ ভোটারদের দাবী ইসলামপুর বাসির উন্নয়নের রূপকার সাবেক সফল ২বারের এমপি জননেতা আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবুকে ইসলামপুরের সুজলা, সুফলা ভরা, রূপসী বৈচিত্র্যময় সাজিয়ে গুছিয়ে ফুলের পুষ্পে ভরা বট বৃক্ষকে উন্নয়নের স্বার্থে হাতে হাত মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে,চোখে চোখ মিলিয়ে, ধানের শীষ মার্কায় ভোট দিয়ে ইসলামপুরের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আলহাজ্ব সুলতান মাহমুদ বাবু কোন বিকল্প নাই।
উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য প্রবীন নেতা আব্দুল ওয়াহাব মাষ্টার বলেন, আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু জীবন যৌবনের বেশিভাগ সময়গুলো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপিতে থেকে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ নিয়েছে। আগামী নির্বাচনে ইসলামপুর আসনে একমাত্র যোগ্যব্যক্তি আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠকি সম্পাদক হাফিজুর রহমান, বলেন শহীদ জিয়ার আদর্শ গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। আমরা আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু ভাইয়ের নেতৃত্বে সব ধরণের আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি, ভবিষ্যেতেও তার নেতৃত্বে আন্দোলন সংগ্রামে নিয়োজত থাক। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলহাজ জামালপুর-২, ইসলামপুর আসনে আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবুর কোন বিকল্প নাই।
সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম হোসেন নোমান বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে আমার প্রিয় নেতা আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সাধারণ নেতাকর্মীদের ডাকে সারা দিয়ে আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। আগামী নির্বাচনে আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবুর নেতৃত্বে ধানের শীষ প্রতীক নির্বাচন করে তাকে জয়যুক্ত করা হবে।
উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাসমত আলী বলেন, স্বেরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমার নামে মামলা থাকায় আলহাজ সুলতান মাহমুদ বাবু আমাকে আর্থিক সহযোগীতাসহ আমার পরিবারের খোজ খবর নিয়েছেন। এভাবে যারাই মামলা হামলার শিকার হয়েছেন তিনি সকলের খোজ খবর নিয়েছেন।
সকলনেতাকর্মীদের দাবী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আলহাজ সুলতান মাহমু বাবু কে এমপি মনোনীত করলে জামালপুর-২ ইসলামপুর আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন।






