সিএমপির আশ্বস্ততায় বিশ্বস্ততার পরিচয় দিল হারানো মোবাইল উদ্ধার করে। সিএমপির অফিশিয়াল ফেইসবুকে পেইজে যোগাযোগ; চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগ কর্তৃক ভারতের কলকাতায়
হারানো আইফোন চট্টগ্রামে উদ্ধার।
গত ০৬,জুলাই, মহানগরীর কোতোয়ালী থানাধীন নিউমার্কেট এলাকার জলসা মার্কেটে অভিযানে হারানো আইফোন ১৪ প্লাস মোবাইল উদ্ধার করে।
কাজী মোঃ তারেক আজিজ এডিসি (পিআর) জানান,মোবাইলটি উদ্ধার হলেও চোরাই মোবাইল ভারত থেকে চোরাই পথ দিয়ে নিয়ে এসে ব্যাবসা সিন্ডিকেটের হোতা কৌশলে পালিয়ে যায়। উদ্ধারের পর মোবাইলটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় মোবাইলটির মালিকের নিকট পৌঁছে দেওয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, মহানগর গোয়েন্দা (বন্দর ও পশ্চিম) বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আলী হোসেন মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সামীম কবির ও সিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মোঃ তারেক আজিজের নির্দেশনায় বিশেষ টিমের এসআই মোঃ রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ হারানো আইকনটি উদ্ধার করেন।
আইফোনটি উদ্ধারের ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ঘটনাক্রমে,কিছুদিন আগে একজন ভারতীয় নাগরিকের আইফোন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় হারালে সেখানকার মহেশতলা থানায় জিডি করেন। বাদীর ইমেইলে হারানো মোবাইল চট্টগ্রাম শহরে চালু হলে সিএমপি অফিশিয়াল পেইজে যোগাযোগ করে তার জিডি ও মোবাইলটি চালু করার লোকেশনে ম্যাসেজে সিএমপির জনসংযোগ শাখা তাকে আশ্বস্ত করেন যে মোবাইলটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তা প্রদান করা হবে।
মোবাইলটি উদ্ধারে সিম প্রবেশ না করানো সত্ত্বেও নানা কৌশলে কাজ করে গোয়েন্দা বিভাগের দলটি চারজন ব্যক্তিকে শনাক্ত করে যারা ভারত থেকে চোরাই পথে চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে এনে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকুমন্ডি লেনে বিভিন্ন খুচরা দোকানদারদের নিকট পৌঁছে দেয় এবং নিজেরাও খুচরা বিক্রি করে।
চোরা সিন্ডিকেটের হোতাকে নাটকের ভয়ে একজন ব্যবসায়ী মারফত চোরাই মোবাইলটি ডিবির এসআই রবিউল ইসলামের নিকট পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই সিন্ডিকেট ভারতের সব চোরাই মোবাইল চট্টগ্রামে পাঠায় এবং বাংলাদেশের চোরাই দামি মোবাইল ভারতে ও ভুটানে পাঠিয়ে থাকে। সিন্ডিকেট সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান
উপ-পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোহাম্মদ আলী হোসেন।
