ঢাকা, রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২, ১১ জিলহজ, ১৪৪৬
সর্বশেষ
সীতাকুণ্ডে সকলের সহযোগিতায় কোরবানি উপলক্ষে ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন হওয়ায় সকলকে জেলা এসপির ঈদ শুভেচ্ছা
সীতাকুণ্ড মহন্তের হাটে এক লক্ষ টাকার গরু ক্রয়-বিক্রয় করলেই মাত্র তিন হাজার টাকা হাসিল
চট্টগ্রাম মহানগরীতে পশুর হাট পরিদর্শনে সিএমপি কমিশনার
৭ সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা
সীতাকুন্ডের বাঁশবাড়িয়া বেড়িবাঁধে ভাঙা স্লুইস গেট নিয়ে উৎকণ্ঠা চরমে
বাঁশখালী পাহাড়ধস এর প্রেক্ষিতে ট্রিগার থেশহোল্ড বিষয়ক বৈধকরণ সভা অনুষ্ঠিত
অবৈধ বসতিতে সেবা সংযোগ নিয়ে পরস্পরকে দোষারোপে
গৃহকর্মী রহিমা ধর্ষণ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
ইপসার ৪০ বছর: চার দশকের পথচলায় নতুন স্বপ্নের উন্মেষ
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে দেশের প্রথম আবহাওয়া ক্লাব উদ্বোধন

কয়রায় নির্মাণ হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন গুচ্ছগ্রাম

খুলনার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ মদিনাবাদ গ্রামে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ৪৯টি দৃষ্টিনন্দন সেমি পাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।সাড়ে ৪ একর জমির উপর পরিকল্পিত ডিজাইনের দৃষ্টিনন্দন গুচ্ছগ্রাম দেখতে হাজির হচ্ছে এলাকার মানুষ।

দৃষ্টিনন্দন এই গুচ্ছগ্রামে প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য ৩ লাখ ৫ হাজার টাকা বরাদ্দে দুটি কক্ষ, একটি রান্নাঘর ও একটি বাথরুম আছে।উপজেলায় যে কয়টি গুচ্ছগ্রাম আছে তারমধ্যে মদিনাবাদে নির্মাণধীন গুচ্ছগ্রামটি সব দিক দিয়ে গুনে মানে সেরা।উপজেলা সদরে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি নির্মিত হওয়ায় সব ধরণের আধুনিক সুযোগ সুবিধা পাবে গুচ্ছগ্রামের মানুষেরা।

সরেজমিন মদিনাবাদ গুচ্ছগ্রামে গিয়ে দেখা গেছে সারি করে সাজানো রঙিন টিনের ঘর। প্রতিটি ঘরের সাথে রয়েছে উন্নতমানের শৌচাগার ও রান্না ঘর।দুই কক্ষ ঘরে একটি পরিবার সুন্দন ভাবে থাকতে পারবে।লাল ও নীল রংয়ের টিনের ঘর দেখে মনে হবে, যেন পরিপাটি সাজানো একটি গ্রাম।গুচ্ছগ্রাম নির্মাণে সবচেয়ে ভাল মানের ইট ও উন্নতমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে।কাগজে সর্বোনিম্ন ০.৩২০ মিমি ঘনত্বের টিন ব্যবহার করার কথা থাকলেও ব্যবহার করা হয়েছে সর্বোচ্চ মানের ০.৩৬০ মিমি ঘনত্বের টিন।

গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের কাজের দায়িক্তে থাকা কামরুল ইসলাম জানান,প্রকল্পের নিয়ম মেনেই কাজ করা হচ্ছে।কোন অনিয়মের সুযোগ নেই।সদরে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হওয়ায় প্রকল্পের সভাপতি এক দিন পর পর এসে সব কিছু চেক করে দিক নির্দশনা দিয়ে যান।শুরুকে কিছু ঘরের বেস ঢালাই ভাল না হওয়ায় সেগুলো ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে।আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করছি।

সরকারের এই প্রকল্পে অসহায় ভূমিহীন মানুষের জীবন বদলে যাবে বলে মনে করছেন কয়রা উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভাপতি মাস্টার খায়রুল আলম।তিনি বলেন আমি খোঁজ নিয়েছি গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পটিতে সুন্দর ভাবে কাজ শেষের পথে।নির্মাণ কাজে কোন অভিযোগ নেই।গুচ্ছগ্রামে আশ্রয় পাবে এলাকার ভূমিহীন দিনমজুর, ভিক্ষুক পরিবার। যাদের ঘর করার সামর্থ্য নেই।এমন সুন্দর ঘর পেয়ে হত-দরিদ্র মানুষেরা খুব খুশি হবে। এতে সরকার, ইউএনও’র পাশাপাশি জনপ্রতিনিধিরা প্রশংসিত হবেন।

গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও সহকারী কমিশনার( ভূমি) বি.এম তারিক উজ-জামান বলেন,আমি দায়িক্ত গ্রহণ করার পূর্বের কিছু ঘরের কাজের গুণাগত মান ভাল না হওয়ায় সে গুলো ভেঙে নতুন করে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে।আমি সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে ঘর নির্মাণে গুনগত মান ঠিক রেখেছি।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

ফেসবুক পেজ

বিজ্ঞাপন

আর্কাইভ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১৩
১৫১৬১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
৩০  
error: protected !!

Copyright© 2025 All reserved